বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে কখনো খর্ব করেনি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে কখনো খর্ব করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে কখনো খর্ব করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করাই প্রথম শর্ত বলে তিনি উল্লেখ করেন।

রোববার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে ডেভেলপমেন্ট মিডিয়া ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের মেরুদণ্ড। গণমাধ্যম যত বেশি স্বাধীন এবং জবাবদিহিতার আওতায় থাকবে, তত বেশি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ২১৫টি গ্রিন ফ্যাক্টরি আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে নির্মিত হয়েছে কি না, তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। শফিকুল আলম বলেন, “বাংলাদেশের শিল্প খাত আজ বৈশ্বিক অঙ্গনে প্রশংসিত। কিন্তু আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, এগুলো সত্যিই আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে পরিচালিত হচ্ছে। স্বচ্ছতা এবং সঠিক মান বজায় রাখতে হলে শুধু দাবিই নয়, প্রমাণও থাকতে হবে। এ জন্য তথ্যভাণ্ডারের সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং তথ্যের নিরপেক্ষ যাচাই-বাছাই অপরিহার্য।”

অনুষ্ঠানে ডেভেলপমেন্ট মিডিয়া ফোরামের লোগো উন্মোচন করা হয়। এই ফোরামের লক্ষ্য এবং কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন শফিকুল আলম। তিনি বলেন, “ডেভেলপমেন্ট মিডিয়া ফোরাম হবে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে সাংবাদিক এবং উন্নয়ন কর্মীরা একত্রিত হয়ে কাজ করতে পারবেন। এর মাধ্যমে উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে সঠিক তথ্য আদান-প্রদানের পথ সুগম হবে।”

ফোরামটি শুধু যোগাযোগের মাধ্যম

ফোরামটি শুধু যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবেই কাজ করবে না, এটি সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। শফিকুল আলম আরও বলেন, “গণমাধ্যমকর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হলে তাদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণের আয়োজন করা জরুরি। এই ফোরামের অধীনে সাংবাদিকরা উন্নয়ন বিষয়ে আধুনিক জ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে আরও দক্ষ হয়ে উঠবেন। এতে করে উন্নয়ন সাংবাদিকতা আরও কার্যকর হবে।”

অনুষ্ঠানে একটি তথ্য ভাণ্ডার তৈরির পরিকল্পনার কথাও জানানো হয়। এই ভাণ্ডার দেশের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম এবং প্রাসঙ্গিক তথ্যের একটি নির্ভরযোগ্য উৎস হিসেবে কাজ করবে। এতে সাংবাদিক ও উন্নয়ন কর্মীরা সহজেই তথ্য পেতে এবং তাদের কাজ আরও সুনির্দিষ্টভাবে করতে পারবেন।

শফিকুল আলম বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য গণমাধ্যমকে আরও শক্তিশালী করা, যাতে এটি দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ডেভেলপমেন্ট মিডিয়া ফোরাম এমন একটি প্ল্যাটফর্ম হবে, যেখানে তথ্য প্রবাহ আরও স্বচ্ছ হবে এবং জনগণের সঙ্গে উন্নয়ন প্রচেষ্টাগুলোর একটি কার্যকর সংযোগ তৈরি হবে।”

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সাংবাদিক ও উন্নয়ন কর্মীরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তারা বিশ্বাস করেন, এই ফোরামের মাধ্যমে উন্নয়ন সাংবাদিকতা আরও সমৃদ্ধ হবে এবং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

-সায়মন ইসলাম

guest
0 মতামত সমুহ
Inline Feedbacks
View all comments