বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, দেশ থেকে স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে বলেই মুক্ত পরিবেশে কথা বলতে পারছি।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (আইডিএইচআর) উদ্যোগে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুই মাস’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, গত দুই মাস আগে ড. ইউনূস বলেছিলেন, কমিশনগুলোকে তিন মাস সময় দেওয়া হবে। নির্বাচন ও সরকার একসঙ্গে চলবে। ভিন্নমত সরকারের কানে পৌঁছেছে। তাই তারা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। সরকার যে কাজগুলো করছে, তা জনগণের মতামত নিয়ে করবে।
বৈঠকে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘গণহত্যায় জড়িতদের বিচার অবশ্যই করতে হবে। তবে এ বিষয়ে সরকারের ভূমিকা বা আচরণ যা দেখছি তা অনেকটাই ঢিলেঢালা। ড. ইউনূসের মতো গুণী মানুষের কাছে এ জাতি আরও ভালো কিছু আশা করে। তাঁকে দেশের প্রতি আরও নজর দিতে হবে। কারণ সরকারের অবস্থান যদি এমন ঢিলেঢালা অবস্থায় থাকে, তবে স্বৈরাচার আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।’
আয়োজক সংগঠন মিলিনিয়াম ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট রোখসানা খন্দকার বৈঠকে সঞ্চালনা করেন।
বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বিএনপির সহ-স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক নিলুফার চৌধুরী মনি, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ, সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক মাসুদ কামালসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।