বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় করতে সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। এটি প্রতিষ্ঠা করা হলে বিচার বিভাগের প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত হবে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে নবীন আইনজীবীদের জন্য আয়োজিত এক কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি। খবর বাসস।
প্রধান বিচারপতি বলেন, উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে জুডিশিয়াল নিয়োগ কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাবও সরকারকে পাঠানো হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছেন বলো মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি নবীন আইনজীবীদের উদ্দ্যেশে বলেন, ‘নৈতিকতা হচ্ছে আইন পেশার মূলভিত্তি। এই নৈতিকতা প্রতিটি আইনজীবীর চরিত্র এবং বিশ্বাসযোগ্যতাকে সংজ্ঞায়িত করে। ’
নতুন আইনজীবীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সবসময় সততা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে হবে। কারণ এই কাজগুলো শুধুমাত্র মামলার ফলাফলই ঠিক করে না, দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর মানুষের বিশ্বাসকেও প্রভাবিত করবে।
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ন্যায়বিচার সমুন্নত রাখতে বার এবং বেঞ্চকে এক হয়ে কাজ করে যেতে হবে। আইনের পথে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ আসবে। তবে সাহস, সততা এবং ন্যায়বিচারের আদর্শের প্রতি বিশ্বাস রেখে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। তাহলেই আইনের শাসন সমাজের পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবে।
এই কর্মশালার মূল অধিবেশন শুরুর আগে চট্টগ্রামে নিহত আইনজীবী আলিফের স্মরণে এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়। পরে আলিফ হত্যা ও গণঅভ্যুত্থানে হতাহতদের জন্য দোয়া করা হয়।
কর্মশালায় আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন।