এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ যারা মাইনর তাদের জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের উদ্যোগি হতে আহবান জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরের বাইরে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে এমন আহবান জানান তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেছেন কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যেসব নিরপরাধ এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও মাইনরদের পুলিশ গ্রেপ্তার করছে তাদের জামিনে সহায়তা করবে সরকার।
এদিকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবারের মধ্যে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ এর ১ ধারায় জামায়াতে ইসলাম ও ছাত্র শিবিরসহ এর সব অঙ্গ সংগঠন রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ হবে।
আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণলায় এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে বলে জানান তিনি। বলেন, নিষিদ্ধ হওয়ার পর এইসব দলের আন্ডারে তারা আর রাজনীতি করতে পারবে না।
গত সোমবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের বিষয়ে ‘সর্বসম্মত’ সিদ্ধান্ত হয়। এরপরের দিন আইনমন্ত্রী আনিসুল বলেন, বুধবারের মধ্যেই জামায়াত নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারি হবে।
স্বাধীনতার পর জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন সরকার। কিন্তু পরে সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের সময় আবার রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পায় জামায়াত।
এরপর প্রায় সাড়ে চার দশক ধরে একাত্তরের স্বাধীনতা বিরোধী ও ধর্মভিত্তিক দল জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি উঠছে। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ নেওয়ার পর সে দাবি আরো জোরালো হয়।
যুদ্ধাপরাধীরে বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যায় জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা উঠে আসে। সেখানে একটি রায়ে জামায়াতকে ‘ক্রিমিনাল দল’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া আরেকটি মামলায় রায়ের ফলে গণ প্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন হারায় জামায়াতে ইসলামী। এরপর গত তিনটি নির্বাচনে ভোটে অংশ নিতে পারেনি জামায়াত।
এদিকে নিষিদ্ধের পর জঙ্গি সংগঠন হিসেবেই জামায়াত-শিবিরকে মোকাবিলা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, কোটা আন্দোলনের নামে জঙ্গিরা নাশকতা চালিয়েছে।