একটি মসজিদ ঘিরে আবারও উত্তপ্ত ভারতের উত্তরপ্রদেশ। রাজ্যের সাম্ভালে ‘শাহি জামা মসজিদ’ এলাকায় পুলিশ ও স্থানীয়দের সংঘর্ষে প্রাণ গেছে চার জনের। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। যাদের মধ্যে অন্তত ৩০ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। এ ঘটনার পর সেখানকার স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। খবর- এএনআই, দ্য হিন্দু ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
রোববার (২৪ নভেম্বর) সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। মুঘল আমলে নির্মিত মসজিদটিতে এক সমীক্ষার নির্দেশ ঘিরে উত্তেজনার সূত্রপাত।
স্থানীয় হিন্দুদের দাবি, মন্দির ভেঙে নির্মাণ করা হয়েছিল প্রাচীন মসজিদটি। এই ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াইও চলছে। সম্প্রতি, শাহি জামা মসজিদে সমীক্ষার নির্দেশ দেয় ভারতের একটি আদালত। এরপরই নতুন করে শুরু হয় উত্তেজনা। সমীক্ষা ঠেকাতে নিরাপত্তা কর্মী ও জরিপকারী দলকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে স্থানীয়রা। পরে, গুলি পুলিশ ছোড়ে। এতে ঘটে হতাহতের ঘটনা।
উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি মুনিরাজ জি গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল রাতে তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছিল। তবে আহত একজন পরে মারা গেছেন। এ ঘটনার পর সহিংসতা এড়াতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কাজ করছে পুলিশ।
এদিকে, এ ঘটনার পর দেশটির জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে একটি পিটিশন দায়ের করেছে বিচার ও স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা ডিকে ফাউন্ডেশন। এতে তারা উল্লেখ করে, পুলিশ প্রশাসন শুধু মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর অ্যাকশন প্রয়োগ করেছে। পুলিশের নির্বিচারে গুলিতে তিনজন মুসলিম মারা গেছে। যেটি নিন্দনীয় ও তদন্তের দাবি রাখে।