প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, গায়ের জোরে একতরফা নির্বাচন চান না তারা। প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলেও জানান তিনি। রোববার (২৪ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন তিনি।
সিইসি জানান, আওয়ামী লীগ নিয়ে যে বিতর্ক আছে, তা অবসানের পর নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা এ কমিশনের আছে বলেও দাবি করেন তিনি।
নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা একতরফা নির্বাচনে বিশ্বাস করি না। একতরফা করে দেশের বারোটা বেজে গেছে। গায়ের জোরে নির্বাচন করে যা হওয়ার তা হয়েছে। আমরা একতরফা বা গায়ের জোরে নির্বাচন দেখতে চাই না। প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের জন্য আমরা একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে দেবো।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে শতভাগ ফেয়ার নির্বাচনের। আগে ডামি নির্বাচন হয়েছে, ১৫৩ জন বিনা ভোটে এমপি হয়েছেন। আমাদের আগমন এগুলো মোকাবিলা করতেই।
তিনি বলেন, অর্পিত দায়িত্বকে চ্যালেঞ্জের চেয়ে জাতির জন্য কিছু করার সুযোগই বেশি মনে করছে কমিশন। অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও এজেন্ডা না থাকায় এই কমিশন কোনো চাপ অনুভব করছে না বলেও জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।