<

বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: রাশেদ খান

রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপের দ্বিতীয় ধাপে জাতীয় পার্টিকে ডাকা হলে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গণ অধিকার পরিষদের সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি বলেন, গণহত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। আগে তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

আজ সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের দশপাইপ এলাকায় একটি রেস্তোরাঁয় ‘রাষ্ট্র সংস্কারে তারুণ্যের ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদ খান এ কথা বলেন।

সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক শাহিন হাওলাদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ, উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও দপ্তর সমন্বয়ক শাকিল উজ্জামান, সহসভাপতি ওয়াহিদুর রহমান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নাহিদ প্রমুখ।

রাশেদ খান বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা বসিয়েছি। এই সরকারকে নজরদারিতে রাখতে হবে। এই সরকার ব্যর্থ হলে এই গণ-অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়ে যাবে। এই সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। ড. ইউনূস আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। কিন্তু, তাঁর আশপাশের কিছু মানুষ তাঁর সুনাম নষ্ট করছেন, নিয়োগ বাণিজ্য করছেন।’

এই আন্দোলন সফল করতে সব দলের ভূমিকা ছিল উল্লেখ করে রাশেদ খান বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের অবদান যদি আপনারা অস্বীকার করেন, তাহলে আপনাদের অবস্থা আওয়ামী লীগের মতোই হবে। ড. ইউনূসকে বলেছি, আপনার আশপাশ থেকে কেউ দল গঠন করার ঘোষণা দিতে পারবে না। দল যদি গঠন করতে হয়, তাহলে সরকারের পদ ছেড়ে এসে দল গঠন করতে হবে।’

রাশেদ খান বলেন, জাতীয় পার্টিকে সংলাপে ডাকা হলে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করা হবে। তারা এই সরকারকে রাষ্ট্র সংস্কারে সহযোগিতা করবেন। কিন্তু ভুল করলে এই সরকারের সমালোচনা করবেন। জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ একই দোষে দোষী। আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের যাঁরা ছিলেন, তাঁরা আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নামে বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২২ সালে যাঁরা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন জি এম কাদের, মুজিবুল হকসহ সবাইকে গ্রেপ্তার করতে হবে।

গণ অধিকার পরিষদ হানাহানি–বিদ্বেষের রাজনীতি করবে না উল্লেখ করে রাশেদ খান বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধকে বাদ দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা যাবে না। ১৯৭১ সালে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের সেই চেতনা আমাদের বুকে ধারণ করতে হবে। ২০২৪ সালে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের চেতনা বুকে ধারণ করতে হবে। তাঁরা বাংলাদেশটাকে এমনভাবে নির্মাণ করতে চান যে কাজের জন্য বিদেশে আর কেউ যাবে না। মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের মানুষ কাজের জন্য বাংলাদেশে আসবে।’