বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির দিকে ক্রিকেট প্রেমীদের আলাদা চোখ ছিলো আগে থেকেই। পার্থের উইকেটে পেসারদের রাজত্বের ব্যাপারেও ধারণা ছিলো আগেই। তবে প্রথম দিনের খেলা দেখে সেই চোখ হলো ছানাবড়া। পার্থে প্রথম দিনেই পড়েছে ১৭ উইকেট। বাঘা বাঘা ব্যাটারদের নাকানিচুবানি খাইয়ে ৭২ বছর আগের রেকর্ড ভাঙলো দু’দলের পেসাররা।
১৯৫২ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্টের প্রথম দিনে সর্বোচ্চ উইকেট পতনের রেকর্ড ঘটে এদিন। দিনের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই মিচেল স্টার্কের আঘাতে জয়সওয়ালের বিদায়ে উইকেট পতনের উৎসব শুরু। এরপর হ্যাজেলউডের বাড়তি সুইং আর বাউন্সে পাডিকেল আর কোহলিও ফেরেন দ্রুতই। কোহলি টানা পাঁচ ইনিংসে ২০ রানের কমে আউট হলেন ৭ বছরের বেশি সময় পর।
রাহুল,পান্ত আর নিতিশ রেড্ডির ব্যাটে কিছু রান এলে ৪৯ ওভার ২ বলে ১৫০ ছুঁয়ে অলআউট হয় মেন ইন ব্লু’রা।
হ্যাজেলউড স্টার্ক কামিন্স আর মিচেল মার্শ মিলে ভারতের ১০ উইকেট পকেটে পোরার দিনে অপেক্ষায় ছিলো ভারতীয় পেসাররাও। শুরুটা করেন জাসপ্রীত বুমরাহ। তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেটের পর সপ্তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন আনপ্লেএ্যাবল বুমরাহ। ১৯ রানেই তিন টপ অর্ডার নেই স্বাগতিকদের।
তরুণ হারশিত রানা স্টাম্প উড়িয়ে দেন ট্রাভিস হেডের। সিরাজের বলেও চোখে সর্ষে ফুল দেখেন লাবুশেন ও মিচেল মার্শ। ৪৪ বছর পর দ্বিতীয়বার অস্ট্রেলিয়া ঘরের মাঠে ৪০ রান তোলার আগে হারায় ৫ উইকেট।
দিনের শেষটায় কামিন্সকে নিজের চতুর্থ শিকার বানান বুমরাহ। অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর যে চাপ ছিলো ভারতীয় অধিনায়কের কাঁধে, সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দিনশেষে তার পুরোটাই ফিরিয়ে দিয়েছেন অজিদের।
উল্লেখ্য, দিনের প্রথম দুটি সেশনই ছিল অস্ট্রেলিয়ার, ভারত ছিল হতাশায়। কিন্তু তৃতীয় ও শেষ সেশনে ম্যাচের মোড় ঘুরেছে ১৮০ ডিগ্রি। অস্ট্রেলিয়া হোক কিংবা ভারত, পার্থ টেস্টের রাজত্বটা রইলো পেসারদের কাছেই।