<

বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী অভিযোগ

বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ

বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী অভিযোগ করেছেন, ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পরে যেখানেই আন্দোলন হয়েছে, সেখানেই স্বীকৃতি মিলেছে, পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু আমাদের আন্দোলনের তিনমাস হলেও দৃশ্যমান কোনও অগ্রগতি নাই। এখনও হিন্দুদের বাড়িঘরে লুটপাট-অগ্নিসংযোগ চলছে। চাঁদাবাজি চলছে, চাকরিচ্যুতি চলছে।

এসব চলার কারণ হিসেবে তার দাবি— উগ্রবাদী গোষ্ঠির সাথে সরকারের একটি অংশ ও রাজনৈতিক একটি অংশ সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশ থেকে সনাতনিদের উচ্ছেদ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা এই ভূমির ভূমিপুত্র। কোনও অবস্থাতেই আমাদের এই স্থান থেকে ছুড়ে ফেলা যাবে না। আমরা মোঘল নই। আমরা ওলন্দাজ নই। আমরা ফরাসি নই। আমরা ব্রিটিশি নই। আমরা উড়ে আসিনি। আমরা প্রহল্লাদ মহারাজের পুত্র। যার নামে এই বঙ্গভুমি। আমরা তার উত্তরাধিকার। আমাদের অধিকার থেকে বঞ্ছিত করার কোনও প্রচেষ্টা সনাতনিরা আর মেনে নেবে না।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধায় রংপুরের আদিনগর মাহিগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ মাঠে সংখ্যালঘুদের নিপীড়নের জন্য ন্যায় বিচার নিশ্চিতে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের শাস্তি নিশ্চিতসহ আট দফা দাবিতে বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস আরও অভিযোগ করেন, আজকে বাংলাদেশে যে নির্যাতন নিপীড়ন হচ্ছে, তা বিগত ৫৩ বছর ধরে হচ্ছে, প্রতিটি সরকারের সময়ে। বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ অসাম্প্রদায়িক; তাদের ও বিভিন্নভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে ঘাপটি মেরে উগ্রবাদীরা লুকিয়ে আছে। তাদেরকে চিহ্নিত করার সুযোগ থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি কোনও সরকারই। বর্তমান সরকারও গ্রহণ করছেন না।

এ সময় তিনি বলেন, আমরা কোনও রাজনৈতিক দলের দালাল নই

ভারতের দালাল, আওয়ামী লীগের দালাল ট্যাগ দিয়ে আমাদেরকে দমানো যাবে না। এ ধরনের ট্যাগ অনেক দিয়েছেন। এই ট্যাগ দিয়ে আর কাজ হবে না।

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কমিটিতে সনাতনদের প্রতিনিধি রাখা না হলে এবং সনাতনিদের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করা না হলে কোনও সংস্কার মেনে নেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন সনাতন জাগরণ মঞ্চের এ মুখপাত্র।

এই সমাবেশে আসার পথে তাদেরকে বাধা দেয়া হয় বলে অভিযোগ তুলেন বক্তারা। এ বিষয়ে রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী জানান, কোথাও কোনোভাবে পুলিশের পক্ষ থেকে বাধা দেয়া হয়নি। শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ হয়েছে। দুয়েকটি জায়গায় যে হামলার কথা বলা হচ্ছে, তা দুর্বৃত্ত কর্তৃক হয়েছে। তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।