হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের হত্যাচেষ্টা মামলায় ব্যারিষ্টার সুমনকে ২ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে হবিগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক কামরুল হাসান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হয় যুবদল-ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও সুমনের সমর্থকরা। বেলা ১টার দিকে সুমনকে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে নিয়ে আসা হলে আদালতের সামনে ছাত্রদল-যুবদল নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রর্দশন করে। অন্যদিকে এজলাসের সামনে জড়ো হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে সুমনের সমর্থকরা।
একপর্যায়ে সুমনের সমর্থকদের ধাওয়া দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এসময় পিটুনির শিকার হন কয়েকজন। পরে আইনজীবি ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এদিন, আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এসম তিনি বলেন, ব্যারিষ্টার সুমন ফ্যাসিবাদের দোসর ছিল। তার নির্দেশেই শায়েস্তাগঞ্জে ছাত্র-জনতার উপর হত্যার উদ্দেশে হামলা হয়।
আদালতে সুমনের আইনজীবী বলেন, রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্য তাকে এই মামলায় ফাসানো হয়েছে। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে ও সাম্প্রতিক সময়ে অন্যান্য আইনজীবিদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তাকে জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানান তিনি।
পরে উভয় পক্ষের যুক্ত তর্ক শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এদিকে, আদালত প্রাঙ্গণে উত্তেজনা ও হাতাহাতির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন আইনজীবী ও স্থানীয়রা। পরে বেলা দেড়টার দিকে সুমনকে আদালত থেকে জেলহাজতে নিয়ে যাওয়ার সময় উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়িকে ধাওয়া করে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ গোল চত্বর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালানোর অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হকসহ ৯৭ জনের নাম উল্লেখ করে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানায় মামলা করা হয়।