সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন সাংবাদিক শফিক রেহমান।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। পরে আদালত তাকে জামিন দেন।
এরপর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আজকে আদালত নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছেন। এটাই অন্তর্বর্তী সরকারের বড় সাফল্য। এসময় তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে সময় ও কাজ করার সুযোগ দেয়ার আহ্বানও জানান। পাশাপাশি তারেক রহমানসহ সব রাজনীতিকদের এক ঘোষণায় মুক্তির দাবি জানান।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর শফিক রেহমান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর তার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন আদালত। এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর শফিক রেহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে নির্বাহী আদেশ জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ। এ মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান ও আমার দেশ পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনকে পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, রিজভী আহমেদ সিজার ও মিজানুর রহমান ভুঁইয়া।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছিল, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও দলটির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্য দলগুলোর উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।