<

৮ সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাকে অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তোলা হবে আজ

৮ সেনা ও পুলিশ

৮ সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাকে ( সাবেক আইজিপি সহ)জুলাই-আগস্টের গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) হাজির করা হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।

তারা হলেন–সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউল আহসান, ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি, মিরপুর ডিএমপির সাবেক ডিসি মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহিদুর ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হক এবং ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।

জুলাই-অগাস্টের ‘গণহত্যার’ মামলায় এর আগে সোমবার সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব ও সাবেক একজন বিচারপতিসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুবনাল গঠন করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। এখন ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের চালানো দমন পীড়নকে ‘গণহত্যা’ বিবেচনা করে এ আদালতে বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

গত ৫ জুলাই থেকে ৫ অগাস্ট পর্যন্ত সময়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে সারা দেশে ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের’ অর্ধশতাধিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন অফিসে জমা পড়েছে।

এর মধ্যে একটি মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবং আরেক মামলায় তার পরিবারের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দমাতে, বিভিন্ন সময় তারা মিছিলে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া, অন্যান্য হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায়ও তারা এজাহারভূক্ত আসামি। গত ৫ আগস্ট, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তারা আত্মগোপনে ছিলেন। বিভিন্ন সময় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

৮ সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তোলা হবে