<

ট্রাম্প যুগে ভারতের চোখে পাকিস্তানকে দেখবে ওয়াশিংটন!

সদ্য সমাপ্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পেয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরইমধ্যে তিনি শুরু করেছেন তার মন্ত্রিসভা গঠনের পরিকল্পনা। মার্কিন-দক্ষিণ এশিয়া সম্পর্কের ওয়াশিংটনভিত্তিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের কারণে পাকিস্তানের সঙ্গে দেশটির সম্পর্কে প্রভাব পড়বে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে বেশ কয়েকজন গবেষক উল্লেখ করেছেন যে, ট্রাম্পের নতুন দলে এমন ব্যক্তিরা আছেন, যারা ভারতের ‘ঘনিষ্ঠ মিত্র’। এটি পাকিস্তানের জন্য সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।

ভারতের দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, ঐতিহাসিকভাবে ইসলামাবাদ বরাবরই চেয়েছে ওয়াশিংটন তাদের নিরপেক্ষভাবে দেখুক। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনে এটি আবার পরিবর্তন হবে। এবার পাকিস্তানকে ওয়াশিংটন দেখবে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের দৃষ্টিকোণ থেকে- এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

মার্কিন নতুন প্রশাসনে এবার ট্রাম্পের বেছে নেয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সিনেটর মার্কো রুবিও এবং কংগ্রেসম্যান মার্ক ওয়াল্টজও রয়েছেন। এটিই ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য শক্তিশালী জোটের স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে। যা পাকিস্তানের দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে। ট্রাম্প রুবিওকে পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মাইক ওয়াল্টজকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

চলতি বছরের জুলাইতে মার্কো রুবিও চীনের হুমকি মোকাবিলা করতে এবং ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্র হিসেবে মর্যাদা দিতে কংগ্রেসে যুগান্তকারী বিল উত্থাপন করেন। সেইসঙ্গে পাকিস্তানে মার্কিন সহায়তা বন্ধের বিষয়েও প্রস্তাব ছিল রুবিও’র।

তালিকায় আরেক নাম কাশ প্যাটেল। তিনি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের একজন কর্মকর্তা, জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের সিনিয়র উপদেষ্টা এবং ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা সচিবের চিফ অফ স্টাফ হিসেবে কাজ করেছেন। ভারতীয় গুজরাটি বংশোদ্ভূত প্যাটেল ট্রাম্পের বেশ ঘনিষ্ট এবং তার দ্বিতীয় মেয়াদে গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটিও ইসলামাবাদের জন্য বেশ চিন্তার কারণ।

এছাড়া রয়েছেন মার্ক ওয়াল্টজ। ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে কাজ শুরু করতে পারেন ওয়াল্টজ। তিনি যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ককে আরও গভীরের দিকে নিয়ে যাবেন বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ওয়াল্টজ ভারতের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। এছাড়া তার কূটনৈতিক অভিজ্ঞতাও বেশ দারুণ । তিনি কংগ্রেসে ইন্ডিয়া ককাসের সহ-সভাপতিও।

এদিকে, চীনের সাথেও ট্রাম্প প্রশাসন যে খুব মধুর সম্পর্ক রেখে চলবে, তেমনটা আশা করা যায় না। আর যেহেতু পাকিস্তানের সাথে চীনের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে ভালো, তাই পাকিস্তানকে চীনের নিক্তিতে মাপতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন, এমনটাই ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।