<

একশ দিনে ৮৬২৭৭ জনকে চাকরি দেয়া হয়েছে: যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া বলেছেন, দেশে বর্তমানে ১ কোটি ৮ লাখ বেকার রয়েছে। এদের মধ্যে ২৬ লাখ গ্রাজুয়েট। এরইমধ্যে ৮৬ হাজার ২৭৭ জনকে চাকরি দেয়া হয়েছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে ৫ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।রোববার (১৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিনের কার্যক্রম নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি।

আসিফ মাহমুদ বলেন, একটি ভঙ্গুর অবস্থার মধ্যে দায়িত্ব নিয়েছি। তবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো রয়েছে। আমরা জনগনের কাছে জবাবদিহিতা দিতে বাধ্য। গত ১০০ দিনে সরকারের আরও কিছু করার ছিলো। তবে তা হয়তো করা যায়নি। আগামী তিন মাসে এর দ্বিগুণ কাজ করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

দ্রব্যমূল্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরবরাহ থাকার পরও কিছু পণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য সিন্ডিকেটকে দায়ী। সিন্ডিকেটের কারণেই বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। বর্তমানে সরকার কঠোরভাবে বাজার তদারকি করছে। আলু ও সবজির সরবরাহ বৃদ্ধির পরও দাম বাড়ার কারণ খতিয়ে দেখা হবে।

সংস্কারের প্রসঙ্গে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কমিশনগুলোর সুপারিশ পাওয়া যাবে। এরপর তা বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলসহ স্টেক হোল্ডারদের সাথে আলোচনা করা হবে। তারপর নির্বাচনের দিকে যাবে সরকার।

বিসিবি প্রসঙ্গে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, বিসিবিতে রাজনীতিকরণ করা হয়েছিল। তা না হলে ক্রিকেট বোর্ডে পরিবর্তন হতো না। বোর্ড এখন জোড়াতালি দিয়ে চলছে। তবে নতুন পরিচালক নিয়োগের মাধ্যমে স্থবিরতা কাটানোর চেষ্টা চলছে। জবাবদিহিতা নিশ্চিতে প্রতিবছর ফেডারেশনগুলো কার্যক্রমের তথ্য ও অডিট রিপোর্ট দিবে। কেউ দুর্নীতি করলে তা খতিয়ে দেখা হবে।

তিনি আরও বলেন, ফুটবলসহ কিছু ফেডারেশন স্বায়ত্তশাসিত। তাই সেখানে সরকারের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। তবে ফেডারেশনগুলোর পুনর্গঠন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বিভিন্ন কমিটি করে অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। যেখানে স্থবিরতা রয়েছে সেখানে নতুন কমিটি করে সংকট সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।

এ সময় শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, গার্মেন্টস খাতে শৃঙ্খলা ফেরানো ও শ্রম অসন্তোষ কমাতে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এরইমধ্যে ফৌজদারি অপরাধে মালিক ও শ্রমিক মিলে ১২৮ জনকে গ্রেফতার হয়েছে। বেক্সিমকো প্রতি মাসে গার্মেন্টস খাতে ৮২ কোটি টাকা বেতন দেয়। এতো টাকার দায় সরকার নিতে পারবে না। এজন্য করণীয় নির্ধারণে সরকার কাজ করছে। এরইমধ্যে তিনটি গার্মেন্টস কারখানার আর্থিক সহায়তা দিয়ে বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।