<

বেতন বকেয়া রেখে কারখানা বন্ধের নোটিশ, শ্রীপুরে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

গাজীপুরের শ্রীপুরে দুই মাসের বেতন বকেয়া রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেছে একটি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকেরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে উপজেলার জৈনাবাজারের পূর্ব পাশে জৈনাবাজার-কাওরাইদ আঞ্চলিক সড়কে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি শুরু করা হয়। আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত শ্রমিকেরা সড়কটিতে অবস্থান করছিলেন।

এতে করে ওই সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ আছে। আঞ্চলিক সড়কটি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ায় সেখানেও যানজটের প্রভাব পড়েছে।

পোশাক কারখানাটির নাম এইচডিএফ অ্যাপারেলস। আজ মূল ফটকের সামনে কারখানাটি বন্ধের নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে লেখা আছে, ‘গত ১২ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত শ্রমিকেরা অযৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য সব ধরনের কাজ বন্ধ রেখেছে। এ ছাড়া তারা উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হলো।’

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের বেতন ও হাজিরা বোনাস পরিশোধ করেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ। গত দুই দিন ধরে বকেয়া বেতনের দাবি করে আসছিলেন শ্রমিকেরা। আজ সকালে কারখানার ফটকে বন্ধের নোটিশ দেখতে পান। এতে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে তাঁরা কারখানা ফটকের সামনে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন।

মো. সমিউর রহমান নামের এক শ্রমিক বলেন, কয়েক দফা তারিখ দিয়েও কর্তৃপক্ষ বকেয়া বেতন পরিশোধ করেনি। বেতন পরিশোধের দাবি করতেই তারা গড়িমসি শুরু করেছে। হঠাৎ বৃহস্পতিবার সকালে কাজ করতে এসে তাঁরা কারখানা বন্ধ দেখতে পান।

মোসা. আফসানা নামের আরেক শ্রমিক বলেন, ‘দুই মাস ধরে বেতন পাই না। ঘরভাড়া বাকি, দোকানের বকেয়া দিতে পারছি না। আমাদের টাকা পরিশোধ করতে হবে।’

বিক্ষুব্ধ অপর শ্রমিক মোসা. শাকিলা আক্তার বলেন, ‘আমাদের টাকা দিয়ে দিলে আমরা চলে যাব। কাজ জানি, ভাতের অভাব পড়বে না। কিন্তু আমাদের বৈধ পাওনা টাকা অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে।’

এ বিষয়ে জানতে এইচডিএফ অ্যাপারেলস কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কোনো সাড়া মেলেনি। কারখানাটির মূল ফটক খোলা হচ্ছিল না।

ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকেরা আন্দোলন করছেন। আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করছি।’