<

গাইবান্ধায় লরিচাপায় মা-ছেলেসহ ৩ জনের মৃত্যু 

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে তেলবাহী লরি চাপায় ঘটনাস্থলে ঝর্ণা বেগম (৪০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এরপর ঢাকায় নেয়ার পথে তার ছেলে জিহাদ মিয়া ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল খালেক নামে আরেকজন মারা গেছেন। 

সোমবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আব্দুল খালেক এবং ঢাকায় নেয়ার পথে যমুনা সেতু এলাকায় জিহাদ মিয়ার মৃত্যু হয়। 

এর আগে, সোমবার দুপুরে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে উপজেলার সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার এলাকায় যাত্রীবাহী একটি ভ্যানকে চাপা দেয় তেলের লরিটি। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ভ্যানে থাকা ঝর্ণা বেগমের। গুরুত্বর আহত হন ঝর্ণার ছেলে জিহাদ ও ভ্যানচালক আব্দুল খালেক। তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নিহত ঝর্ণা বেগম গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের বগুলাগাড়ী নয়াপাড়া গ্রামের আব্বাস আলীর স্ত্রী। অপরদিকে ভ্যানচালক আব্দুল খালেক (৪৫) একই গ্রামের মাসিম খন্দকারের ছেলে। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সোমবার দুপুরে ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে মা ও ছেলেসহ চারজন যাত্রী নিয়ে গোবিন্দগঞ্জে যাচ্ছিলেন চালক আব্দুল খালেক। পথে সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ ভ্যানটির এক্সেল ভেঙে যায়। এতে চালকসহ যাত্রীরা সড়কের ওপর ছিটকে পড়েন। এ সময় দ্রুতগতিতে পেছন থেকে আসা তেলবাহী একটি লরি তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ঝর্ণা বেগমের মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়রা আহত চালক খালেক, যাত্রী জিহাদ ও দুলুকে উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদের শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় কর্তব্যরত চিকিৎসক। আহত বগুলাগাড়ী নয়াপাড়া গ্রামের গোল্লা মিয়ার ছেলে দুলু মিয়া (৫০) গোবিন্দগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার পর তেলের লরিটি পালিয়ে গেছে। গাড়িটি শনাক্ত ও চালক-সহযোগীকে আটকের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।