ইসরাইলি হামলায় নিহত হিজবুল্লাহ নেতা সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি করেছে লেবাননের একটি নিরাপত্তা সূত্র। শনিবার (৫ অক্টোবর) সূত্রটি জানায়, শুক্রবার (৪ অক্টোবর) থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাকে লক্ষ্য করে ইসরাইল বিমান হামলা চালিয়েছে বলেও জানায় সূত্রটি। খবর রয়টার্সের।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) গভীর রাতে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ইসরাইল বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে একটি বড় হামলা চালিয়েছে। সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস তিনজন ইসরাইলি কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, হামলাটি একটি ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে হাসান নাসরুল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হাশেম সাফিউদ্দীনকে লক্ষ্য করে চালানো হয়।
হামলার পর থেকে হিজবুল্লাহ এখন পর্যন্ত সাফিউদ্দীন সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি।
এদিকে শুক্রবার ইসরাইলের লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি বলেছেন, সেনাবাহিনী এখনও বৃহস্পতিবার রাতের বিমান হামলার মূল্যায়ন করছে, যেটি তার মতে হিজবুল্লাহর গোয়েন্দা সদর দফতর লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে।
নাসরুল্লাহর উত্তরসূরি সাফিউদ্দীন যদি সত্যি নিহত হয়ে থাকেন তবে তা হিজবুল্লাহ এবং এর পৃষ্ঠপোষক ইরানের জন্য আরও একটি বড় আঘাত হবে। গত বছর থেকে এই অঞ্চলজুড়ে ইসরাইলি হামলা (যা কয়েক সপ্তাহে তীব্র হয়েছে) হিজবুল্লাহর নেতৃত্বকে অনেকটাই ধ্বংস করেছে।
ইসরাইল শনিবার উত্তরের শহর ত্রিপোলিতে প্রথম হামলার মাধ্যমে লেবাননে তার হামলা আরও জোরদার করেছে। লেবাননের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলছেন, বৈরুত শহরতলিতে বোমা হামলার পর, ইসরাইলি সেনারা দক্ষিণে অভিযান শুরু করেছে।
ইসরাইল হিজবুল্লাহর সঙ্গে প্রায় এক বছর ধরে গুলিবিনিময়ের পর সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সীমান্তের ওপারে সেনা পাঠিয়েছে এবং তীব্র বোমা হামলা শুরু করেছে।
ইসরাইল বলেছে, তারা উত্তর ইসরাইলে কয়েক হাজার নাগরিককে নিরাপদে বাড়িতে ফিরিরে আনার জন্য হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে হামলা চালাচ্ছে; যেখানে গত বছরের ৮ অক্টোবর থেকে উভয় পক্ষের গুলিবিনিময় চলছে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর ইসরাইল বিমান হামলায চালিয়ে হিজবুল্লাহপ্রধান নাসরুল্লাহসহ গোষ্ঠীটির অনেক সিনিয়র সামরিক নেতৃত্বকে নির্মূল করেছে।