<

এই গণঅভ্যুথানে বিএনপি বড় ভূমিকা রেখেছে: মির্জা ফখরুল

গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ধারবাহিকতায় এবারের অভ্যুত্থানেও বড় ভূমিকা ছিল বিএনপির— এ কথা বলেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আওয়ামী লীগের ১৫বছরে রাজপথে ছিল বিএনপি। মাঠে সরব ছিল তিনটি নির্বাচন ঘিরেই। চব্বিশের নির্বাচনের বছর দুয়েক আগ থেকেই দেশজুড়ে কখনও সমাবেশ, কখনও রোডমার্চ আর পদযাত্রার মতো কর্মসূচি দেয় দলটি। তাতে অংশগ্রহণ ছিল ব্যাপক। মহাসমাবেশ থেকেও উচ্চারিত হয় সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবি। কিন্তু কোনও কিছুতেই সরকারকে দাবি আদায়ে বাধ্য করতে পারেনি বিএনপি।

এ নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছিলেন, গণতন্ত্রকে পুনপ্রতিষ্ঠা করা আমাদের মূল আন্দোলন ছিল। ফ্যাস্টিস্ট শক্তিকে গণতান্ত্রিক আন্দোলন দিয়ে প্রতিহত করা খুব কঠিন কাজ। তারপরও সেটা সম্ভব হয়েছে। আন্দোলনের সময় বিএনপি শুধু সক্রিয় ছিল তা নয়, আমাদের ৪২২ জনের প্রাণ গেছে। যেই আন্দোলনে দেড় থেকে দুই হাজারের মতো মারা গেছেন।

শেখ হাসিনার শাসনামলে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাবরণ করতে হয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান হন সাজাপ্রাপ্ত। প্রায় ৬০ লাখ নেতাকর্মীকে আসামি করে দায়ের করা হয় বিপুলসংখ্যক মামলা। এখন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলার আইনি ব্যবস্থার পাশাপাশি কর্মীদের মামলার বিষয়গুলোও দেখছে বিএনপি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারে আবেদন করতে সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়েছে। সে লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলো কাজ করছি। আমরা তালিকা করছি।

সম্প্রতি জাসদ সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নূরুল হক নূর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের সংসদীয় এলাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করার বিষয়ে বিএনপির চিঠি নিয়ে ওঠা প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন দলের মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেছেন, তারা তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করার জন্য যখন এলাকায় যায়… তারা যেহেতু তুলনামূলকভাবে ছোট দল, তাদের সহযোগিতার জন্য আমরা বলেছি, আমাদের যেহেতু সংগঠন আছে সব জায়গায়। যেহেতু তাদের সাথে আমরা যুগপৎ আন্দোলন করছি, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছি।

বিএনপি মনে করে, সংসদই হবে দেশ পরিচালনার মূল চালিকাশক্তি। দলটির মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে যে সংসদ গঠিত হবে, সে সংসদের মাধ্যমে আমরা সংস্কারগুলোকে নিয়ে আসতে পারলে সেটা সবচাইতে অংশগ্রহণমূলক হবে।