চুয়াডাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় সোহরাব উদ্দীন (৫৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত ওই কর্মী হলেন– জগন্নাথপুর খলিশাপাড়া গ্রামের মৃত আফসার ব্যাপারীর ছেলে সুলতান হোসেন (৪৫)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত ২৩ অক্টোবর দামুড়হুদার নাটুদহের ডিসি ইকো পার্কের অদূরে বোয়ালমারী গ্রামের ফকিরপাড়া মোড় নামক স্থানে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা রক্তাক্ত ও জখম হয়।
এসময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হয়ে পড়েন বিএনপি কর্মী সুলতান হোসেন। পরে স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরবর্তীতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত ওই কর্মীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে, এ ঘটনায় গতকাল সোমবার সুলতান হোসেনের ছেলে পলাশ উদ্দীন বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। ওই মামলার ৩নং আসামি নাটুদহ ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের গোচিয়ারপাড়ার মৃত ভরস আলীর ছেলে সোহরাব উদ্দিনকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর বলেন, গতকাল বিকেলে অভিযান চালিয়ে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।বাকী আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।