সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের সপ্তম আসরের মেগা ফাইনালে বুধবার (৩০ অক্টোবর) স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে দুই বছর আগে একই টুর্নামেন্টের ভিন্ন আসরে, একই মাঠে ও একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ফাইনাল খেলে শিরোপা জিতেছিল বাঘিনীরা। এবারও কি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করবে সাবিনা-রিতু-তহুরারা?
সাফের ফাইনাল নিশ্চিতের পরদিন অনেকটাই নির্ভার বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। যথারীতি ম্যাচের পরদিন রিকোভারি সেশনের মাধ্যমে সময় পার করে বাটলার শিষ্যরা। হার্ড ট্রেনিং না থাকায় জিম, সুইমিং ও হাল্কা স্ট্রেচিং করেছে পুরো দল।
দল হিসেবে খেলতে পারলে আরও একবার হিমালয় কন্যা থেকে শিরোপা দেশে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ২০২২ সালে রঙ্গশালায় যে ইতিহাস রচনা করেছিল বাংলাদেশ, এবার তা ধরে রাখার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ডিফেন্ডার আফঈদা খন্দকার। বলেন, ইতিহাস রচনা গতবারই করা হয়ে গেছে, এবার সেটি ধরে রাখার চেষ্টা থাকবে।
নেপালের বিপক্ষে রক্ষণের গুরু দায়িত্ব থাকবে আফঈদার ওপর। সাবিত্রা ভান্ডারি লাল-সবুজদের শিবিরে ভীতি ছড়ালেও সর্বোচ্চটুকু আক্রমণ আটকাতে বদ্ধপরিকর আফঈদা। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ ও এশিয়ান গেমসের প্রেক্ষাপটে নেপালের সাথে আমরা একাধিকবার খেলেছি। মাথা ঠান্ডা রেখে খেললে ভালো কিছু করা সম্ভব বলেও জানান এ ডিফেন্ডার।
বাংলাদেশ তার নিজস্ব কক্ষপথে আছ বলে মনে করেন সহকারী কোচ মাহবুবুর রহমান লিটু। জানান প্রতিপক্ষ নিয়ে না ভেবে লাল-সবুজরা নিজেদের সেরাটা দিতে মুখিয়ে আছে। আশাবাদী এ কোচ বলেন, ফাইনালে আমাদের মেয়েরা ভক্ত-সমর্থকদের বিমুখ করবে না।
উল্লেখ্য, ফাইনালের মঞ্চে প্রতিপক্ষ নেপাল ছাড়াও মাঠে উপস্থিত থাকবে প্রায় ১৬ হাজার দর্শক। তবে সব ছাপিয়ে শিরোপার দিকেই চোখ থাকবে টাইগ্রেসদের। জিততে পারলে ভারতের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পড়বে বাংলাদেশ।