<

মানিকগঞ্জে মমতাজসহ আওয়ামী লীগের ১০৯ নেতাকর্মীর নামে হত্যা মামলা

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় প্রায় এক যুগ আগে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহতের ঘটনায় মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম ও দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুসহ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনের ১০৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় অজ্ঞাত আরও ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করা হয়। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) উপজেলার গোবিন্দল গ্রামের মো. মজনু মিয়া (৬০) বাদী হয়ে সিঙ্গাইর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল মাজেদ খান, সিঙ্গাইর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সায়েদুল ইসলাম, সিঙ্গাইর পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু নাঈম মো. বাশার ও মীর মো. শাহজাহান।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি হেফাজত ইসলামসহ ইসলামী সমমনা দলগুলোর হরতালের সমর্থনে মানিকগঞ্জ-সিঙ্গাইর-হেমায়েতপুর সড়কের গোবিন্দল নতুন বাজার এলাকায় মিছিল বের হয়। হরতালের সমর্থনে শত শত ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে জনস্রোতে পরিণত হলে বিগত স্বৈরসরকার দলীয় নেতাকর্মীদের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে বাদীর ছেলে নাজিম উদ্দিন মোল্লাসহ চারজন নিহত হন। গুলিতে নিহত অপর তিনজন হলেন গোবিন্দল গ্রামের মওলানা নাসির উদ্দিন, আলমগীর হোসেন ও শাহ আলম।

এর আগে, গত ৯ অক্টোবর একই ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, ৩৭ পুলিশ সদস্যসহ ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৬০ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন গোবিন্দল গ্রামের মো. সহিদুল ইসলাম।

ওই মামলায় পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন তৎকালীন সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম, জেলা ডিবি পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক মো. মহিবুল আলম, মদন মোহন বণিক ও মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, সিঙ্গাইর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আদিল মাহমুদ, মোজাম্মেল হোসেন। পরে মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে সিঙ্গাইর থানার ওসি মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, এর আগের মামলায় কয়েকজন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দুটি মামলায় আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।