রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়টি গণদাবিতে পরিণত হচ্ছে জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণলায়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে গণমাধ্যমকে ব্রিফিংয়ে এসব বলেন তিনি।
উপদেষ্টা পরিষদে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে চলা আন্দোলনের বিষয়টি আলোচিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে যে, আন্দোলন হচ্ছে সেটি আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে কিছু রাজনৈতিক দল অভিমত ব্যক্ত করেছে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হবে। এটিও আলোচিত হয়েছে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের আলোচনা চলমানও আছে।
তিনি জানান, রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতেই অন্তর্বর্তী সরকার একটি সিদ্ধান্তে যাবে। তিনি বলেন, যেহেতু দাবিটি জোরালো হচ্ছে এবং গণদাবিতে পরিণত হচ্ছে, কাজেই রাজনৈতিক দলগুলোকে এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে সরকার চাপে কিংবা অস্বস্তিতে রয়েছে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, দেশ পরিচালনা করতে গেলে নানা বিষয়ে চাপ থাকে। তবে সরকারের অস্বস্তির কিছু নেই। একটি ইস্যু এসেছে, এটি ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে সমাধান হবে। এটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া হিসেবে দেখছি। এখানে অস্বস্তিতে ভোগার কিছু নেই।
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে এই উপদেষ্টা বলেন, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের বিষয়টি গেজেটে স্পষ্ট আছে। প্রত্যেক গণমাধ্যমের খবরে হেলমেট বাহিনী, হকিস্টিক, পুলিশের পোশাক পরে আন্দোলনে হামলার খবর উঠে এসেছে। নিরাপদ সড়ক আন্দোলন থেকে যতগুলো ছাত্র আন্দোলন হয়েছে সব জায়গায় ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসীর ভুমিকায় দেখা গেছে। তখন যারা দায়িত্বশীল ছিল তারা ঘোষণাও দিয়েছে আন্দোলনকারীদের শায়েস্তা করার জন্য ছাত্রলীগই যতেষ্ট। ফলে ছাত্রলীগকে আন্দোলন দমনের জন্য সন্ত্রাস হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। কাজেই তাদের বিষয়টি না বোঝার কিছু নেই।
তিনি বলেন, তাদেরকে (ছাত্রলীগ) নিষিদ্ধ করার আরেকটি কারণ হচ্ছে, জুলাই গণহত্যার পরও তারা থেমে গেছে সেটি নয়। তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এটি বিভিন্ন বাহিনীর রিপোর্টে উঠে আসছে। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আদালতের মাধ্যমেও কিন্তু তারা বেশ কয়েকবার দোষীসাব্যস্ত হয়েছে। আবরার ফাহাদ, বিশ্বজিতের কথা ভুলে যেতে পারি না। এগুলো চোখের সামনেই হয়েছে। সন্ত্রাসী সংগঠনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম সরকারের বসে বসে দেখার সুযোগ নেই। কাজেই বর্তমানের প্রাধিকার বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।