<

সোনাদিয়া দ্বীপের ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংসকারীদের চিহ্নিত করতে হাইকোর্ট নির্দেশ

কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপ ও আশপাশের এলাকায় বিস্তৃত ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংসের কার্যক্রম বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। সেই সঙ্গে ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংসের কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে ৯০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আদালতে এ সংক্রান্ত রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাদ্দাম হোসেন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, বুধবার হাইকোর্ট এ আদেশ দেন। তিনি বলেন, ১৯৯৯ সালে সরকার সোনাদিয়া দ্বীপকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করে। সম্প্রতি এই দ্বীপ ও আশপাশের এলাকা, যেমন-ঘটিভাঙ্গা, তাজিয়াকাটা ও হামিদার দিয়া এলাকার ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট ধ্বংস করে অবৈধ চিংড়ি ঘের তৈরির মহাযজ্ঞ চলছে। এই বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই। হাইকোর্টের আদেশের ফলে ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে বলে আশা করি।

পরিবেশ সচিব, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), প্রধান বন সংরক্ষক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ ১৩ জন বিবাদীকে (রেসপনডেন্ট) আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

ধ্বংসের হাত থেকে সোনাদিয়া দ্বীপও আশপাশের এলাকায় বিস্তৃত ম্যানগ্রোভ বন রক্ষায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এর ৫ ধারা অনুসারে ধ্বংসের হাত থেকেএই ম্যানগ্রোভ বন রক্ষার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না-রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে সোনাদিয়া দ্বীপ ও আশপাশের এলাকায় বিস্তৃত ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংসের কার্যক্রম বন্ধে ও অবৈধ চিংড়িঘের উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে গত ২৯ আগস্ট বিবাদীদের লিগ্যাল নোটিশ দেন আইনজীবী মো. রহিম উল্লাহ, মহেশখালী উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য এম আজিজ সিকদার, মো. ইউনুস ও সিরাজুল মোস্তফাসহ ১২ জন।

নোটিশে সোনাদিয়া দ্বীপে ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংসের কার্যক্রম বন্ধ ও অবৈধ চিংড়িঘের উচ্ছেদে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়। লিগ্যাল নোটিশ দিয়ে অনুরোধ করার পরও কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়।