<

দেশের প্রয়োজনে অবসর ভেঙে সাদা পোশাকে ফিরতে চান ওয়ার্নার

দেশের প্রয়োজনে অবসর ভেঙে টেস্টে ফিরতে চান ডেভিড ওয়ার্নার। ভারতের বিপক্ষে বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজ দিয়ে আবারো লাল বলের ক্রিকেটে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার এই সাবেক ওপেনার। অন্যদিকে ওপেনিংয়ে সেরা ছন্দে না থাকায় নিজের পছন্দের জায়গা চার নম্বরে খেলতে চান স্টিভ স্মিথ।

খুব বেশি দিন হয়নি টেস্টকে বিদায় জানিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। ওপেনিয়ে সেই ওয়ার্নারের শূন্যতা হারে হারে টের পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। স্মিথ ব্যর্থ হওয়ায় অস্ট্রেলিয়া হন্নে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে কে হবেন ওসমান খাজার সঙ্গী। কারণ নভেম্বরেই রয়েছে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি। যেখানে ভারতের লক্ষ্য সিরিজ জয়ের হ্যাটট্রিক পূরন করা। অন্যদিকে অজিদের লক্ষ্য গত দুই সিরিজ হারের প্রতিশোধ নেয়া।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কে হবেন ওপেনার? শেফিল্ড শিল্ডে ট্রায়ালে থাকা মার্কাস হ্যারিস, ক্যামেরন ব্যানক্রফ্ট, ম্যাট রেনশ কেউই নির্বাচকদের ভরসা হতে পারেননি। তাইতো দলের প্রয়োজনে আবারো ফিরতে রাজি ডেভিড ওয়ার্নার। এজন্য ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির প্রতিযোগিতা শেফিল্ড শিল্ডে খেলতে প্রস্তুত ৩৭ বছর বয়সী সাবেক ওপেনার।

ডেভিড ওয়ার্নার বলেন, আমাকে সব সময় পাওয়া যাবে। শুধু একটা ফোনের অপেক্ষা। আমি সব সময় তৈরি। আমাদের দল ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ লাল বলের ক্রিকেট খেলেছে। তাই আমার পরিস্থিতি বাকিদের মতোই। ওরা যদি মনে করে ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ়ে আমাকে প্রয়োজন, তা হলে আমি খুশি মনেই শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচ খেলব। সেখানেই বোঝা যাবে আমি কতটা প্রস্তুত।

তিনি আরও বলেন, আমাকে ব্যাট করার পছন্দের জায়গা জানাতে বলা হয়েছিল। আমি চার নম্বর বলেছিলাম। সঙ্গে বলেছিলাম, যে কোনও জায়গায় ব্যাট করতে প্রস্তুত। আমার কোনও জেদ নেই। তবে চার নম্বরই আমার জন্য সেরা জায়গা। আমাকে পছন্দ করতে দিলে, চার নম্বর বলব।

ওয়ার্নারের অবসরের পর টেস্টে ওপেনিংয়ে আনা হয় পরিবর্তন। স্টিভ স্মিথকে দিয়ে ওপেন করানোর সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ওপেনিংয়ে ব্যাট হাতে নিষ্প্রাণ ছিলেন স্মিথ। আট ইনিংসে ২৮.৫০ গড়ে করেছেন ১৭১ রান। তাইতো স্মিথ আবারো ফিরতে চান নিজের পছন্দের জায়গা চার নম্বরে।

১১২ টেস্টে ৮ হাজার ৭৮৬ রান করে অবসরে যান ওয়ার্নার। এই সংস্করণে ২৬ সেঞ্চুরির ২০টিই তিনি করেন দেশের মাটিতে। গত গ্রীষ্মে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানান ওয়ার্নার। এরপর গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেও বিদায় বলে দেন এই মারকুটে ব্যাটার।