<

তারল্য সংকট: আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত টাকা তোলা না তোলার আহ্বান

লুটপাটে নাজুক অবস্থায় বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংক। দায়িত্ব নিয়েই এসব ব্যাংক সংস্কারে মনোযোগ দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। আগের পর্ষদ ভেঙে গঠন করা হয় নতুন পরিচালনা পর্ষদ।

সংকটে থাকা ব্যাংকের প্রতি গ্রাহক আস্থা ধরে রাখতে নেয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। এরপরও থামানো যায়নি গ্রাহকের আমানত তুলে নেয়ার প্রবণতা।

এ অবস্থায় গ্রাহকের আমানতের সুরক্ষা দিতে বদ্ধ পরিকর বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বলেন, ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ অনুযায়ী গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংক বদ্ধপরিকর। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রাহকদের স্বার্থ বিবেচনা করে বিভিন্ন ব্যাংককে তারল্য সহায়তা দেয়ার লক্ষ্যে গ্যারান্টি সুবিধা দিয়েছে। তাই গ্রাহকদের ভয়ের কিছু নেই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি ব্যাংকগুলো নিজেরাও গ্রাহকের আমানতের সুরক্ষায় সচেষ্ট। তাই এক ব্যাংক থেকে টাকা তুলে অন্য ব্যাংকের না রাখার আহবান জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র। সতর্ক করেছেন, তারল্য সংকট নিয়ে গুজব না ছড়ানোর।

হুসনে আরা শিখা বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক খবর না ছড়ানোর জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। এক ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলন করে অন্য ব্যাংকে না রাখতে অনুরোধ করছি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যাংকিং খাতে আমানতকারীদের আস্থা ধরে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগ ইতিবাচক। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকেও সচেষ্ট থাকতে হবে। খেলাপি ঋণ আদায়ে জোর দেয়ার পরামর্শ তাদের।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, আমানতকারীদের যেকোনো স্বার্থ রক্ষা ও সুরক্ষা দেয়ার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। পলিসি ফ্রেম ওয়ার্ক বলি কিংবা পরিচালনার বিষয়, এটা এটা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্ব।

গ্রাহকের আস্থা ফেরাতে না পারলে ব্যাংকগুলোর পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হবে বলেও মনে করেন বিশ্লেষকরা।