ভারতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন মুসল্লিরা। ঢাকার সাভার, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি ও সাতক্ষীরা জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়।
এ সময় মুসল্লিরা ভারতের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ ও বিজেপির বিধায়ক নীতেশ রানের গ্রেফতারের দাবি জানান। না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
একই দাবিতে জুম্মার নামাজ শেষে পিরোজপুর কেন্দ্রীয় মসজিদ মোড় থেকে সর্বস্তরের তৌহিদি জনতার ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বড় মসজিদ মোড়ে পথসভায় মিলিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী পথসভায় বক্তারা বলেন, বিশ্বনবী মুহাম্মদ (সা.) শুধুমাত্র মুসলমানদের ধর্মীয় নেতা নন, তিনি বিশ্ব মানবতার শান্তির অগ্রদূত। তিনি মুসলমানদের প্রাণ। তিনি সকল পথভ্রষ্ট মানুষদের জন্য শান্তির ধর্ম ইসলাম নিয়ে এসেছিলেন। তার চরিত্রে কোনো রকম কালিমা নেই। কিন্তু তাকে ও ইসলামকে নিয়ে ভারতে যে কটূক্তি করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানাই। কটূক্তিকারীদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
ঝালকাঠিতেও বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর স্থানীয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলার ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ করে তারা।
এ সময় বক্তারা এ ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দার দাবি জানানো হয়।
এদিকে, আজ জুম্মার নামাজের পর সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন মুসল্লিরা। শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলটি রাজ্জাক পার্কে পৌঁছে শেষ হয়। এ সময় বক্তারা, অবিলম্বে মহানবী (সা.)-কে কটুক্তিকারীদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি জানান।