অনেক সময় পিরিয়ড নিয়ে কারও সঙ্গে আলাপ করতেও সংকোচ বোধ করেন অনেক নারী। আর রক্তক্ষরণের স্বাভাবিক পরিমাণ সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে তিনি বুঝতেও পারেন না যে তাঁর রক্তক্ষরণ অস্বাভাবিক। এ কারণে বহুদিন ধরে তিনি কোনো রোগ বহন করতে পারেন, যা একেবারে জটিল আকার ধারণ না করা পর্যন্ত আর ধরা পড়ে না। এমনকি ডেঙ্গুজ্বরের জটিলতায়ও মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে পারে। যেকোনো সুস্থ নারীর মাসিকের প্রথম দু থেকে তিন দিন কিংবা মাঝের কয়েকটা দিন রক্তক্ষরণ বেশি হতে পারে স্বাভাবিকভাবেই। কিন্তু সেই বেশিটাও কতটা বেশি হলে স্বাভাবিকতার মাত্রার মধ্যে থাকে, তা জানা জরুরি।
কিছু উপসর্গ থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছে কি না, তা বোঝা যায়। এসব উপসর্গের কোনোটি যদি থেকে থাকে, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা–নিরীক্ষার মাধ্যমে সঠিক কারণটি খুঁজে বের করা জরুরি। মনে রাখবেন, অধিক রক্তক্ষরণ কিন্তু সব সময়ই জরায়ুর সমস্যার কারণে হয় না। হরমোনের তারতম্য, রক্তের রোগসহ অন্যান্য কারণও থাকতে পারে।