গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার একদিন পর অবশেষে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি গাজায় যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে না বলে নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে তারা।
আজ শুক্রবার হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিনি ‘বীর’ হিসেবে যুদ্ধ করে শহীদ হয়েছেন; অগ্রসর হয়েছেন এবং পিছু হটেননি, বরং অস্ত্র দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীকে সামনে থেকে মোকাবিলা করেছেন।
এদিকে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর (আইডিএফ) প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, হামলায় ধ্বংস হওয়া একটি ভবনের মধ্যে চেয়ারে বসে আছেন এক ব্যক্তি। ধুলায় সারা শরীর ঢাকা মারাত্মক আহত ওই ব্যক্তি নিজের দিকে এগিয়ে আসা একটি ইসরায়েলি ড্রোনের দিকে লাঠি নিক্ষেপ করছেন।
বিবৃতিতে হামাস সেটিকেই সিনওয়ারের জীবনাবসানের আগমুহূর্তের ঘটনা হিসেবে ইঙ্গিত করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, সিনওয়ার হত্যাকাণ্ডকে ‘গাজা যুদ্ধের শেষের শুরু’ হিসেবে বর্ণনা করলেও ‘যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি’ বলে উল্লেখ করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
তবে ইসরায়েলের মিত্র দেশগুলো থেকে শুরু করে গাজার অসহায় বাসিন্দাদের অনেকেই আশা প্রকাশ করেছেন যে সিনওয়ারের মৃত্যু এই যুদ্ধ অবসানের পথ প্রশস্ত করবে।
হামাস-প্রধানের মৃত্যুর খবরে জিম্মিদের মুক্ত করতে নতুন করে যুদ্ধবিরতি আলোচনা শুরু করার জন্য দেশের সরকারের কাছে ফের দাবি তুলেছে ইসরায়েলিরা।
তবে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় কয়েক দফা যুদ্ধবিরতি আলোচনার সময় হামাসের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেওয়া সিনওয়ারের কাতারভিত্তিক সহযোগী খলিল আল-হাইয়া বলেছেন, ‘গাজায় আগ্রাসনের অবসান এবং সেনা প্রত্যাহারের আগে জিম্মিরা মুক্তি পাবে না।’
অবশ্য দেশের জনগণকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি জানিয়েছেন, জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে নতুন করে আলোচনার জন্য শুক্রবার একটি বিশেষ বৈঠক ডাকার পরিকল্পনা করছেন নেতানিয়াহু।
হামাসের কাছে এখনও প্রায় ১০০ জন জিম্মি রয়েছে। অবশ্য তাদের মধ্যে ইতোমধ্যে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি ইসরায়েলের।