টানা কয়েক মাসের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর এবার পূর্ব ইউক্রেনের কৌশলগত শক্তিশালী ঘাঁটি ও পাহাড়ি শহর ভুলেদারের দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী।
ইউক্রেনের ক্রাউড-সোর্সড ট্র্যাকিং সাইট ডিপস্টেটের বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম মস্কো টাইমস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার রুশ সেনারা ভুলেদার দখল করেছে।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বুধবার ভুলেদার থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
কিয়েভ বলছে, ভুলেদার থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার না করা হলে রুশ সেনারা তাদের ঘেরাও করতে পারতো। হাইকমান্ড কর্মী এবং সামরিক সরঞ্জাম বাঁচাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন দ্বারা যাচাইকৃত ফুটেজে দেখা গেছে, রুশ সেনারা বিধ্বস্ত শহরের সিটি হলের ধ্বংসাবশেষের ওপর দাঁড়িয়ে রাশিয়ার পতাকা নাড়ছে। ইউক্রেনের ৭২ম মেকানাইজড ব্রিগেডের সেনারা যারা ভুলেদারে লড়াই করছিলো তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
যুদ্ধ শুরুর আগে ইউক্রেনীইয় এ শহরটিতে প্রায় ১৪ হাজার মানুষ বসবাস করলেও বর্তমানে শহরটির জনসংখ্যা একশ’তে নেমে এসেছে।
ভুলেদার একটি ‘দুর্গ শহর’ হিসেবে পরিচিত। এর চারপাশের পরিবেশ এবং উঁচু অবস্থানের কারণে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই শহর দখল মস্কোর জন্য একটি বড় সাফল্য হিসেবে চিহ্নিত হবে।
গেলো আড়াই বছর ধরে কৌশলগত এ কয়লা খনির (সাবেক) শহরটি দখলে নিতে একাধিক প্রচেষ্টা চালিয়েছে রুশ সেনারা। এই শহর দখলের জন্য হাজার হাজার সেনা এবং শত শত ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান ব্যবহার করেছে মস্কো।
চলতি মাসের শুরুতে মস্কো টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ভুলেদারকে ডনবাস অঞ্চলের দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে বর্ণনা করেন ইউক্রেনের সামরিক বিশ্লেষক ইভান স্টুপাক। এই শহর দখলের ফলে অঞ্চলটিতে রাশিয়া আরও অগ্রসর হতে পারবে বলেও মনে করেন তিনি।
পশ্চিম রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের আকস্মিক অনুপ্রবেশ সত্ত্বেও আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে পূর্ব ইউক্রেনে অনেকটাই এগিয়েছে মস্কো।
মস্কো টাইমস বলছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রুশ সেনারাও ভুলেদার থেকে প্রায় ৫০কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত পোকরভস্কে কিয়েভের প্রধান লজিস্টিক হাব দখলের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।