<

সিনাওয়ারের মৃত্যুর পর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নতুন অধ্যায় শুরুর ঘোষণা হিজবুল্লাহর


লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ বলেছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নতুন এক অধ্যায় শুরু করছে তারা। হিজবুল্লাহর দাবি, তারা প্রথমবারের মতো ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে সক্ষম।

গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যা করেছে তারা। এরপরই বিবৃতিটি দিয়েছে হিজবুল্লাহ। সশস্ত্র গোষ্ঠীটি হিজবুল্লাহর মিত্র হিসেবে পরিচিত। বিবৃতিতে অবশ্য হামাসপ্রধানের বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে বড় আকারে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। তখন থেকে লেবাননের দক্ষিণে ও পূর্বে হিজবুল্লাহর ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।

গত মাসে লেবাননে একটি স্থল অভিযান পরিচালনা করে ইসরায়েলি বাহিনী। আর এর পর থেকে লেবাননের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে দুই পক্ষের মধ্যে কাছাকাছি অবস্থান থেকে লড়াই চলছে।

বৃহস্পতিবার হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইসরায়েলি শত্রুপক্ষের সঙ্গে চলমান সংঘাত একটি নতুন এবং ক্রমবর্ধমান অধ্যায়ে রূপান্তরিত হয়েছে বলে ঘোষণা দিচ্ছে হিজবুল্লাহ।’ আগামী দিনগুলোতে বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে এ ঘোষণার প্রতিফলন দেখা যাবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে হিজবুল্লাহ।

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা বেড়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দক্ষিণ লেবাননের গ্রামগুলোতে ইসরায়েলের স্থল অভিযান মোকাবিলা করার জন্য শত শত যোদ্ধা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

রকেট হামলা দিন দিন বাড়ছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রথমবারের মতো মোতায়েন করা হয়েছে।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর বৈরুতে ইসরায়েলের হামলায় হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হন।