রাজধানীর ধানমন্ডিতে দুর্ধর্ষ ছিনতাইয়ের ঘটনায় দেশীয় অস্ত্রসহ ছিনতাইকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বৃহস্পতিবার ভোরে ধানমন্ডির রাপা প্লাজার সামনে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুইটি চাপাতি, একটি লোহার রড ও ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি হলুদ রঙের পিকআপ গাড়ি জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. আবদুল আউয়াল (৩৫), মো. শফিকুল ইসলাম সাগর (২১) ও মো. সোহেল প্রকাশ ওরফে কানা সোহেল (৩০)।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ধানমন্ডি থানা সূত্রে জানা যায়, জেহাদুল ইসলাম মনি ও তার স্ত্রী মির্জা ফাতিমা জাহান দম্পতি গত ১৬ অক্টোবর ভোরে বরগুনা থেকে রাসেল স্কয়ার বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি থেকে নামেন। তারা বাসস্ট্যান্ড থেকে রিকশাযোগে ধানমন্ডি পৌঁছান। রিকশা থেকে নামার মুহূর্তে অজ্ঞাতনামা তিনজন ছিনতাইকারী একটি হলুদ রঙের পিকআপ দিয়ে তাদের গতিরোধ করে। তারা ধারালো চাপাতি ও লোহার রড দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও মারধর করে ভিকটিমের স্ত্রীর ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন, একটি ভ্যানিটি ব্যাগ, একটি ইবিএল ব্যাংকের এটিএম কার্ড ও এনআইডি কার্ড ছিনিয়ে নেয়। তাদের মারধরে জেহাদুল ইসলাম মনির স্ত্রী শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হন।
পরে ধানমন্ডি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এবং গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ছিনতাইয়ের সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে। পরে আজ ভোর সোয়া ছয়টায় ধানমন্ডি রাফা প্লাজার সামনে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় ভিকটিম জেহাদুল ইসলাম মনির অভিযোগের ভিত্তিতে আজ ধানমন্ডি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ধানমন্ডি, শেরেবাংলা নগর ও মোহাম্মদপুর এলাকায় পিকআপযোগে ছিনতাই করে আসছিলো।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ছিনতাই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।