বছরের এই সময়ে খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলো জমজমাট থাকার কথা থাকলেও, এবার এগুলো একদমই ফাঁকা। নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা এবং বন্যার কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে পর্যটননির্ভর ব্যবসা বাণিজ্যে নেমেছে ধস।
পূজার ছুটিও পেরিয়ে গেল। কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল। অথচ এই পর্যটন মৌসুমে পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়িতে সব পর্যটনকেন্দ্রই এখন ফাঁকা। জেলার সবচেয়ে আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্র আলুটিলা, রহস্যময় গুহা, রিছাং ঝরনা সবখানেই সুনশান করছে নীরবতা।
৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পার্বত্য তিন জেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তাই ফাঁকা পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় অলস সময় কাটছে সংশ্লিষ্টদের।
এছাড়া রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর একাধিকবার বন্যায় জেলার পর্যটন শিল্পে প্রভাব পড়েছে। অন্যদিকে সাম্প্রতিক সময়ে খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি-বাঙালি সহিংসতার কারণে পর্যটকদের আগমন অনেক কমে গেছে। তারপর নিরাপত্তাজনিত কারণে সরকারি ঘোষণায় তা শূন্যের কোটায় নেমে আসে। হোটেল-মোটেল, কটেজে বুকিং নেই, পর্যটকবাহী পরিবহন শ্রমিকরা বেকার। পাহাড়ি ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও হস্তশিল্প ব্যবসাও বন্ধের উপক্রম। অথচ জেলার প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনোভাবে পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত।