কিছুতেই যেনো নিয়ন্ত্রণে আসছে না বাজার। বছর ব্যবধানে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে আলু-পেঁয়াজের দাম। লাগাম টানা যাচ্ছে না ডিমের দামের। আর সংকটে অস্বাভাবিক হয়ে উঠছে সব ধরণের সবজির দাম। এমন পরিস্থিতিতে সীমাহীন দুর্ভোগে কম আয়ের মানুষ।
এবার যেন সব ধরনের নিত্য পণ্য একই সঙ্গে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। অস্থিরতার এই আগুনে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো ঘি ঢালছে সরবরাহ কমিয়ে। সরকারের নানা প্রচেষ্টার পরও এমন পরিস্থিতি হতাশায় ভোগাচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
টিসিবি’র হিসাবে, গত বছর এই সময়ে প্রতিকেজি আলু কেনা যেত ৪৫ টাকার কমে। কিন্তু এখন তা ৬০ টাকা। তবে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে আরেকটু বেশি, যা কেজিতে ৪৫ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। দামের এমন ঊর্ধ্বগতিতে বিপাকে ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই।
বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় মুরগি ও ডিম। বছর ব্যবধানে পণ্য দুটির দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ পর্যন্ত। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকার পরও বাড়তি মুরগির দাম। তবে ডিমের বাজারে চলছে অন্য রকম অস্থিরতা। এদিকে, সপ্তাহ দুয়েক ধরে বাজারে সরবরাহ সংকটে বাড়ছে সব ধরনের সবজির দাম। যা এখন অস্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকাল থেকে চট্টগ্রামের পাহাড়তলির আড়ত বন্ধ বন্ধ করে দিয়েছেন আড়তদাররা। তারা জানান, সরকারের বেঁধে দেয়া প্রতি পিস ১১ টাকা ১০ পয়সায় ডিম কিনতে পারছেন না তারা। ফলে বিক্রিও করা যাচ্ছে না ১১ টাকা ৮৭ পয়সায়। বাড়তি দামে কিনে বিক্রি করতে গেলে পড়তে হচ্ছে জরিমানার মুখে। তাই বাধ্য হয়ে ডিম বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে।
এদিকে, রাজধানীর কারওয়ান বাজার পরিদর্শন শেষে বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, উৎপাদন ও সরবরাহ ঘাটতির ফলেই বাজারে পণ্যের দাম বাড়ছে। এসময় যারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজারে অস্থিরতা তৈরি করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থারও হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
ডিমের বাজারের চলমান অস্থিরতা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, ডিম ও মাংসের সরবরাহকারীদের সঙ্গে আলোচনা করেই বাজারে দাম ও সরবরাহ ঠিক করা হবে।