বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার পরবর্তী ধাপ শুরু করার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে তারেক রহমানের কিংস্টনের বাসায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে খালেদা জিয়ার। বাসায় ফেরার পরও তার চিকিৎসা যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. প্যাট্রিক কেনেডি এবং ডা. জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে চলবে।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টায় (বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৪টা) দ্য ক্লিনিকের সামনে এক ব্রিফিংয়ে ডা. জাহিদ এই তথ্য জানান। এ সময় যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতৃবৃন্দ এবং আরও কয়েকজন চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন।
ডা. জাহিদ জানান, বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, যাতে চিকিৎসক এবং নার্সরা কোনো অসুবিধা ছাড়াই কাজ করতে পারেন। বৃহস্পতিবার নতুন কিছু পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব পরীক্ষার রিপোর্ট শুক্রবার পাওয়া গেলে খালেদা জিয়ার হাসপাতাল থেকে ছুটি হতে পারে।
তিনি বলেন, “শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে উনাকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যদি রিপোর্টগুলো ঠিকঠাক আসে এবং চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেন।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি সম্পর্কে তিনি বলেন, “গত ১৭ দিনে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি রিপোর্ট ইতোমধ্যে পাওয়া গেছে, তবে এখনও কিছু বাকি রয়েছে। কিছু পরীক্ষা এখানকার ল্যাবে করা সম্ভব নয়, সেগুলো বাইরে থেকে করাতে হচ্ছে। এখন উনি আগের চেয়ে অনেকটাই ভালো আছেন।
লিভার ট্রান্সপ্লান্টের সম্ভাবনা সম্পর্কে ডা. জাহিদ বলেন, “এখনো লিভার ট্রান্সপ্লান্টের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি। উনার বয়স বিষয়টি এখানে বড় একটি ফ্যাক্টর। এছাড়া দেশে জেলে থাকার সময় উনাকে চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। তখন যদি বিদেশে আনা যেতো, হয়তো দ্রুত সঠিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হতো।
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে ওষুধের মাধ্যমে যে চিকিৎসা চলছে তা অব্যাহত থাকবে। চিকিৎসকরা এই পদ্ধতিতেই একমত।
হাসপাতাল থেকে খালেদা জিয়ার বাসায় ফেরার সম্ভাবনা এবং তার স্বাস্থ্যের উন্নতি সম্পর্কে পরিবারের পাশাপাশি বিএনপির নেতাকর্মীরাও আশাবাদী। চিকিৎসকদের মতে, বাসায় ফিরে তিনি আরও আরামদায়ক পরিবেশে চিকিৎসা নিতে পারবেন, যা তার সুস্থতার জন্য সহায়ক হবে।
-সায়মন ইসলাম