এবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তৎকালীন ডিজিএফআই প্রধানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) গুমের অভিযোগটি দিয়েছেন লে. কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান বীর প্রতীক।
নিজের গুম-নির্যাতন ও চাকরিচ্যুত হওয়ার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, আমাকে ২০১২ সালে সেনাবাহিনী থেকে গুম করা হয়। ৪৩ দিন আমাকে হাত-পা ও চোখ বেঁধে রাখা হয়। ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট মিরপুরের ডিওএইচএস থেকে দ্বিতীয়বার গুম করা হয়। তখন গুম করে রাখা হয়েছিল দেড় বছর। তারা বলেছে, চুপ না থাকলে আমাকে শেষ করে দেবে। আমার বিরুদ্ধে সাইবার আইনে ১১টি মামলা করা হয়েছে।
হাসিনুর রহমান বীর প্রতীক বলেন, সুইডেন ভিত্তিক অনুসন্ধানী পোর্টাল নেত্র নিউজে আমি তথ্য দেয়ার কারণেই আমাকে গুম করা হয়। আমি শহীদ জিয়াউর রহমানের চেতনা ধারণ করি, এটিও সত্য। তবে এন্টি ইন্ডিয়ান সেন্টিমেন্ট আমার প্রথম থেকেই ছিল। আমাকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর সঙ্গে কাজ করার জন্য বলা হয়েছিল, তবে আমি রাজি হইনি।
রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে দিয়ে তাকে চাপ দেয়ানো হতো জানিয়ে তিনি বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের পরে আওয়ামী সরকারের কঠোর সমালোচনা করায় সেটা আমার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে আমাকে গুম করা হয়েছিল। আমার কণ্ঠরোধ করার জন্যই গুম করা হয়। ডিজিএফআইয়ের লোভী কিছু কর্মকর্তার জন্য পুরো সংস্থা আজ প্রশ্নবিদ্ধ। ডিজিএফআইকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।
লে. কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান আরও জানান, আয়নাঘরে (গুম করে রাখা হতো যেসব ঘরে) সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে দেখেছি, মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইলকে দেখেছি। আমার ব্যাচমেট সবাইকে আতঙ্কিত করে রাখা হয়েছিল। তিনি যোগ করেন, এখনও গুমঘরে কেউ কেউ আছে বলে ধারণা করি। ওখানে অনেকেই হয়তো মারা গেছেন।