জলবিদ্যুৎ বাঁধ পরিবেশ সুরক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা
চীন বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের ঘোষণা দীর্ঘদিন আগেই দিয়েছিল, যা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও এবার প্রকল্পটি বাস্তবায়নের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে দেশটির সরকার। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদন অনুসারে, প্রকল্পটি চীনের উচ্চাভিলাষী উদ্যোগগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং এটি তিব্বত মালভূমির পূর্ব প্রান্তে ইয়ারলুং জাংবো নদীর নিম্নাংশে নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে এই বিশাল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা কনস্ট্রাকশন করপোরেশন অব চায়না জানিয়েছে, এই বাঁধ থেকে প্রতি বছর ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট–ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। এটি শুধু চীনের বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে নয়, বরং সামগ্রিক কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।
চীন সরকারের আশা, এই প্রকল্পটি কার্বন নির্গমন হ্রাস এবং কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। একইসঙ্গে প্রকৌশল খাত ও অন্যান্য শিল্পের প্রসার ঘটাবে এবং তিব্বতে উল্লেখযোগ্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, প্রকল্পটি পরিবেশগত সুরক্ষা, নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার এবং স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হবে। তবে প্রকল্পটি আন্তর্জাতিক মহলে বিতর্কিত, কারণ এর প্রভাব পরিবেশ, প্রতিবেশী দেশগুলোর জলপ্রবাহ এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনে কীভাবে পড়বে তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে চীন নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে তার নেতৃত্ব ধরে রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তবে, এর ভূরাজনৈতিক এবং পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে আলোচনা এখনও থেমে নেই।
-সাইমন ইসলাম