<

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন

বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারকে প্রধান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল পুনর্গঠনের অনুমোদন দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।

সোমবার সন্ধ্যার পর সচিবালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এ কথা জানান।

আইন উপদেষ্টা বলেন, খুব শিগগির বিচার কার্যক্রম শুরু হবে।

৩ সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সদস্যরা হলেন- বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এর আগে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, সুপ্রিমকোর্ট থেকে ট্রাইব্যুনালের জন্য বলা হতো বিচারপতি সংকটের কথা। হাইকোর্টে ২৩ জন বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, এখন ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হবে। দুর্গাপূজার ছুটি শেষ হলেই দুই বা তিন দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হবে।

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের লক্ষ্যে ২০১০ সালে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ইতোমধ্যে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন টিম বরাবর হত্যা, গণহত্যা, গুম-খুনের অর্ধশত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এতে আসামী করা হয়েছে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও গণমাধ্যমকর্মীদের।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেছেন, বিচারক নিয়োগ হওয়ামাত্র ট্রাইব্যুনাল ফাংশনাল হবে। ট্রাইব্যুনাল ফাংশনাল হওয়া মাত্র আমরা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, আসামিদের বিদেশ যাওয়া বন্ধ করা, তথ্য-উপাত্ত জব্দ করার জন্য আদেশ চাইব। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য লাগবে। সে ব্যাপারে ট্রাইব্যুনাল থেকে আদেশ আসবে।

২০১০ সালের ২৫ মার্চ একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। পরে ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। তবে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটিকে একীভূত করে আবার একটি ট্রাইব্যুনাল বহাল রাখা হয়।

বর্তমানে এই একটি ট্রাইব্যুনালেই একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারকার্য চলমান রয়েছে।