জ্বালানি অপরাধীদের বিচারের দাবি তেল-গ্যাস রক্ষা কমিটির, ৬ দফা দাবি ঘোষণা

স্বার্থবিরোধী চুক্তি ও দুর্নীতির জন্য দায়ী মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিব, উপদেষ্টাসহ জ্বালানি অপরাধীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন তেল, গ্যাস খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যরা। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতকে লুটেরামুক্ত করে জাতীয় সক্ষমতা বাড়ানোর দাবিও জানিয়েছেন।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর ডিআরইউ মিলনায়তনে ‘জ্বালানি ও বিদ্যুৎ হাতের রূপরেখা বর্তমান পরিস্থিতি ও করণীয়’ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন তেল, গ্যাস খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক এমএম আকাশ, অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা, অধ্যাপক ড. আনিস চৌধুরীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতারা।

এ সময় উপস্থিত বক্তারা বলেন, জনগণ যেন সঠিক দাম ও মানে নির্বিঘ্নভাবে বিদ্যুৎ, প্রাথমিক জ্বালানি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি সেবা পায়, সেই লক্ষ্যে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে। বিগত সরকারের আমলে করা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি চুক্তি ও সম্ভাব্য চুক্তিসমূহ পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। চুক্তিগুলো বাতিলের দাবিও তুলেন।

এছাড়া, বিদ্যুৎ বিভাগ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং ইউটিলিটিসমূহের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ বিইআরসি দ্বারা গঠিত ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক নিষ্পত্তি করার কথা বলেছেন সভায় উপস্থিত সদস্যরা।

তেল-গ্যাস রক্ষা কমিটির ৬ দফা দাবিগুলো হলো:

১) জাতীয় স্বার্থ রক্ষার্থে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য কমাতে স্বল্প মেয়াদে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

২) বিগত সরকারের আমলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি চুক্তি ও সম্ভাব্য চুক্তি পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।

৩) স্বৈরাচারী সরকারের সংগঠিত সব জ্বালানি অপরাধের বিচার করতে হবে।

৪) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও বিদ্যুৎ খাত পরিকল্পনার প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা তৈরি করতে হবে।

৫) দেশীয় গ্যাস উত্তোলন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে, আমদানি করা গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমাতে হবে এবং সাগরে গ্যাস উত্তোলনে বাপেক্সের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।

৬) নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করে প্রতিযোগিতামূলক বিডিং নিশ্চিত করতে হবে।