পাকিস্তানে কাজ কমে যাওয়ায় হতাশ গিলেস্পি

পাকিস্তানের ক্রিকেট মানেই যেন কদিন পরপর রদবদলের খেলা! টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলের ভরাডুবির জেরে গত জুলাইয়ে দুই নির্বাচক ওয়াহাব রিয়াজ ও আবদুল রাজ্জাককে সরিয়ে দেয় দেশটির ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

তবে আগের নির্বাচক কমিটির অন্য দুজন মোহাম্মদ ইউসুফ ও আসাদ শফিককে রেখে দেয়। সেই সময়ই জানানো হয়, দল নির্বাচনে ইউসুফ ও শফিকের সঙ্গে ভূমিকা রাখবেন প্রধান কোচ ও অধিনায়ক। টেস্ট দলের প্রধান কোচ হিসেবে তাই জেসন গিলেস্পি প্রায় তিন মাস নির্বাচকের দায়িত্বও পালন করেছেন।

কিন্তু নিজেদের মাঠে টেস্ট সিরিজে  বাংলাদেশের কাছে ধোলাই ডবলধোলাই হওয়ায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে আগে আবারও নির্বাচক কমিটিতে পরিবর্তন আনে পিসিবি। ইউসুফ সরে দাঁড়ালে নির্বাচক কমিটিতে সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়। শফিকের সঙ্গে দায়িত্ব পান হাসান চিমা, আকিব জাভেদ, আজহার আলী ও সাবেক আম্পিয়ার আলিম দার।

কমিটির সদস্যসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় কোচ গিলেস্পিকে নির্বাচকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে কাজের পরিসর কমে যাওয়াকে স্বাভাবিক চোখে দেখছেন না অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই পেসার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আমি সময়ে সময়ে হতাশ হয়ে পড়ছি। যদিও আমাকে এই কাজের (নির্বাচক) জন্য নিয়ে আসা হয়নি। কিন্তু এটা সেই পরিস্থিতিগুলোর একটি, যা আপনাকে মেনে নিয়েই চলতে হবে।’

বোর্ডের সঙ্গে তাঁর সুস্পষ্ট যোগাযোগেরও ঘাটতি দেখছেন গিলেস্পি, ‘যখন আমি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে এলাম, আমাকে বলা হলো তাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা আছে এবং আমাদের মধ্যকার যোগাযোগে কোনো অস্পষ্টতা না থাকে। তাদের কথামতো আমি সেদিকেই মনোযোগী হয়েছি। কিন্তু আপনি যেভাবে চান, সেভাবে না করা হলে হতাশ হতে পারেন।’

৪৯ বছর বয়সী এই কোচ আরও বলেন, ‘এর আগে আমি আলাদা পরিবেশে কাজ করেছি এবং সেখানকার কাজগুলোতে ভিন্নভাবে করা হতো। সেটা নিয়ে যে কেউ একমত হতে পারে অথবা দ্বিমত থাকতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমি এখানে আছি পাকিস্তান দলকে সাহায্য করতে, খেলোয়াড়দের ভালো করায় সাহায্য করতে।’

গত এপ্রিলে পাকিস্তান টেস্ট দলের প্রধান কোচ পদে গিলেস্পিকা নিয়োগ দেওয়া হয়। পিসিবির সঙ্গে তাঁর চুক্তি দুই বছরের।