বছরে বরাদ্দ ২০০ কোটি টাকার বেশি, তবু শ্রোতা নেই বাংলাদেশ বেতারের

বেতারের শক্তি বিস্ময়কর। মাঝসমুদ্রে যেখানে মুঠোফোনের নেটওয়ার্ক আর কাজ করে না, ওখানেও পৌঁছে যায় বিপৎসংকেতের ঘোষণা। বাংলাদেশ বেতারের রয়েছে শক্তিশালী তরঙ্গব্যবস্থা। উন্নত অনেক দেশের বেতারেও এ ব্যবস্থা নেই। সরকারি এই প্রচারমাধ্যমের জন্য বাংলাদেশ সরকারের বছরে বরাদ্দ ২০০ কোটি টাকার বেশি। দেশজুড়ে থাকা ১৪টি কেন্দ্রে আছেন পাঁচ শতাধিক বিসিএস কর্মকর্তাসহ তিন হাজার কর্মী। এত কিছু নিয়েও বাংলাদেশ বেতারের জনপ্রিয়তা ও শ্রোতার সংখ্যা শোচনীয়। বিপুল ব্যয়ের প্রতিষ্ঠানের বছরে আয় ১০ কোটি টাকার কম।

শ্রোতারা বলছেন, বাংলাদেশ বেতার তাঁদের শোনার প্রয়োজন হয় না। ভালো গান বা সংবাদে বিশেষ কিছু পান না তাঁরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেতারকে সময়োপযোগী করতে সম্পাদনা নীতিতে পরিবর্তন ও প্রতিযোগিতামূলক করার বিকল্প নেই। 

তবে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৯৯৭ সালে সাবেক সচিব আসাফ্‌উদ্দৌলাহর নেতৃত্বে এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ বেতারকে জনপ্রিয় ও সম্ভাবনাময় করার পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছিল, যা আর আলোর মুখ দেখেনি। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সে তথ্য জানেন না; বরং তাঁরা বলছেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের আয় করার দায় নেই।