নোয়াখালী–হাতিয়া নৌ রুটে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রলার

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে জেলার মূল ভূ-খণ্ডের সি–ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রলার। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ৩ নম্বর স্থানীয় সর্তকসংকেত জারির পর গতকাল বুধবার দুপুর থেকে হাতিয়ার সঙ্গে সব ধরনের নৌ যোগাযোগ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। উপজেলা প্রশাসনের ওই নির্দেশ পাওয়ার পর সি–ট্রাক ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়, যা আজ বৃহস্পতিবারও বন্ধ রয়েছে। কিন্তু উত্তাল নদী ও সাগরে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও যাত্রী পারাপার অব্যাহত রয়েছে।

আজ সকাল থেকে হাতিয়ার আকাশ ছিল মেঘলা। আর দুপুর থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এমন আবহাওয়ায় ট্রলারে হাতিয়া থেকে জেলা শহর মাইজদীতে এসেছেন উপজেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ৩ নম্বর সংকেতের মধ্য দিয়ে দাপ্তরিক সভায় অংশ নেওয়ার জন্য তাঁকে ঝুঁকি নিয়ে জেলা শহরে আসতে হয়েছে। উত্তাল নদী ও সাগর পার হওয়া কতটা ঝুঁকিপূর্ণ, সেটি ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ অনুধাবন করতে পারেন না বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে জেলা শহর থেকে হাতিয়ার উদ্দেশে চেয়ারম্যানঘাট গিয়ে ফিরে এসেছেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা জহির উদ্দিন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, সি–ট্রাক বন্ধ রয়েছে। কিছু কিছু ট্রলারে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী পারাপার করলেও তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাতিয়ায় যাননি। তবে অনেক মানুষকে তিনি ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে যাতায়াত করতে দেখেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিলটন চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, ৩ নম্বর সতর্কসংকেত বলবৎ থাকায় হাতিয়ার সঙ্গে সি–ট্রাকসহ অন্যান্য নৌযান একান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।