পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রলীগের দুই নেতা–কর্মীকে আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে দিলেন শিক্ষার্থীরা

ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ফাহিম আহমেদসহ দুজনকে আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে সোপর্দ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার হলিধানী এলাকার ভেটেরিনারি কলেজের সামনে থেকে এই দুজনকে আটক করা হয়। পরে সেনাবাহিনীর একটি দল দুজনকে সদর থানায় সোপর্দ করে।

ফাহিম আহমেদ ঝিনাইদহ ভেটেরিনারি কলেজের শিক্ষার্থী। আটক অন্যজনের নাম মোস্তাকিম আহমেদ। তিনিও একই কলেজের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কর্মী।

দুজনকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তাঁদের দুজনকে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের করা নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ভেটেরিনারি কলেজে একাডেমিক পরীক্ষা শেষে কলেজ থেকে বেরিয়ে প্রধান ফটকে এলে অন্য শিক্ষার্থীরা ফাহিম আহমেদ ও মোস্তাকিম আহমেদকে আটকে রাখেন। পরে তাঁরা সেনাবাহিনীকে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তাঁদের দুজনকে আটক করে সদর থানায় হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী।

শিক্ষার্থীরা জানান, ২০২২ সালের ৭ অক্টোবর ঝিনাইদহ ভেটেরিনারি কলেজ ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের ধাওয়ায় পালাতে গিয়ে সদর উপজেলার নগর বাথান এলাকায় দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ভেটেরিনারি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি সাইফুজ্জামান মুরাদ, তাঁর অনুসারী শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম ও সমরেশ বিশ্বাস। দুর্ঘটনার পর এটিকে সড়ক দুর্ঘটনা বলেছিল প্রশাসন। তবে নিহতের স্বজনেরা অভিযোগ করেন, শরীরে আঘাত দেখে মনে হচ্ছে তাঁদের কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর সাইফুজ্জামানের বাবা বদিউজ্জামান বিশ্বাস বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে ২০ জনের নামে মামলা করেন। এ মামলার আসামি ছিলেন ফাহিম আহমেদ। তবে তিনি জামিনে মুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।