বাংলাদেশ থেকে পুরস্কার পেলেন দুই শিক্ষার্থী

স্নাতকের সময় করা প্রকল্পটিই শাফায়াত জমা দিয়েছিলেন গ্লোবাল আন্ডারগ্র্যাজুয়েট অ্যাওয়ার্ড ২০২৪-এ। তিনি বলেন, ‘ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফিটা আমার শখ। তা ছাড়া প্রকৃতির প্রতি একটা দায়িত্বও অনুভব করি। শেষ বর্ষে উঠে ভাবলাম, বাংলাদেশে মানুষ ও বন্য প্রাণীর মধ্যে যে দ্বন্দ্ব আছে, সেটা নিয়েই থিসিস করব।’

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন উজাড় হয়ে যাওয়ার কারণে মানুষ ও হাতির মধ্যে যে বিরূপ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, সেটিই তুলে ধরতে চেষ্টা করেছেন শাফায়াত। শেরপুরের বালিঝুরি এলাকাটিকে বেছে নিয়ে তিনি দেখিয়েছেন, কীভাবে হাতির চলার পথ ও মানুষের বসতি, দুটিই নিরাপদ রাখা সম্ভব। তাঁর এই প্রকল্পের নাম ‘আ সিনানথ্রোপিক করিডর’। অর্থাৎ মানুষ ও বন্য প্রাণীর জন্য এমন এক স্বাধীন পরিবেশ, যেখানে কেউ কারও ক্ষতির কারণ হবে না।

শাফায়াত বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমি আরও গভীরভাবে বন্য প্রাণী সুরক্ষা নিয়ে কাজ করতে চাই।’

নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে ইংরেজি বিভাগে স্নাতক করেছেন হাসান শেখ। তবে দ্বিতীয় বর্ষ থেকেই ‘গ্লোবাল আন্ডারগ্র্যাজুয়েট অ্যাওয়ার্ড’ সম্পর্কে তাঁর ধারণা ছিল। বলছিলেন, ‘এটা ছিল আমার স্নাতকের প্রকল্প। তখন ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেক সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম। ভাবিনি এই অর্জন আসবে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে ও আমার সুপারভাইজার মো. ওবায়দুল্লাহ স্যারের অনুপ্রেরণায় সফল হয়েছি।’

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে গণমাধ্যমগুলো কীভাবে ভূমিকা রাখছে, সেটাই ছিল হাসানের গবেষণার বিষয়। বিবিসি, ফক্স নিউজ ও স্পুটনিক—এই তিনটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরগুলো বিশ্লেষণ করেছেন তিনি। কাজটি সম্পন্ন করতে হাসানকে এই সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত প্রায় এক বছরের খবর সংগ্রহ করতে হয়েছে। বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয়ে গণমাধ্যমগুলো কীভাবে সাধারণের কাছে ঘটনাটি তুলে ধরে, ভাষার ব্যবহারের ক্ষেত্রে কী কৌশল অবলম্বন করে, সেটিই হাসান বুঝতে চেষ্টা করেছেন।

ভাষাতত্ত্ব বিভাগে পুরস্কারজয়ী হাসান বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমার গবেষক হওয়ার ইচ্ছা আছে। পাশাপাশি মানবকল্যাণেও বিভিন্ন কাজ করতে চাই। বিশেষ করে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য।