প্রতিপক্ষের বোলারদের নিয়ে জিম্বাবুয়ের ছেলেখেলা

টি-টোয়েন্টিতে প্রতিপক্ষের বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করেছে জিম্বাবুয়ে। নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২৮৬ রান তুলেছে সিকান্দার রাজার দল। যদিও তাদের তুলনায় প্রতিপক্ষ সিশেলস একেবারেই দুর্বল দল।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) নাইরোবিতে টি-২০ বিশ্বকাপের আফ্রিকার সাব-রিজিওনাল কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হয় জিম্বাবুয়ে ও সিশেলস। টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন সিশেলস অধিনায়ক রাশেন ডি সিলভা।

আগে ব্যাট করতে নেমে সিশেলস অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণিত করেন জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও তাদিয়ানসে মারুমানি। রীতিমতো প্রতিপক্ষের বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলায় মাতেন এই দুই ব্যাটার। যদিও দু’জনই সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও ম্যাজিক ‘থ্রি ফিগারে’ পৌঁছাতে পারেননি।

পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে এই দুই ব্যাটার তুলেছেন ৮৬ রান। সপ্তম ওভারেই (৩৯ বলে) জিম্বাবুয়ে পৌঁছে যায় দলীয় ১০০ রানে। ওই ওভারে আসে ২৪ রান। ফলে সাত ওভারেই তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১১০ রান। ১৪৫ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙে মারুমানির বিদায়ে। মাত্র ৯ দশমিক ৪ ওভারে এই রান তোলেন দুই ওপেনার। বিদায়ের আগে মারুমানি খেলেন ৩৭ বলে ৮৬ রানের ঝড়ো ইনিংস। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০ চার ও পাঁচ ছয়ে।

ওপেনার মারুমানির বিদায়ের পর বেনেটের সাথে ২০ বলে ৩৬ রানের জুটি গড়েন ডিয়ন মায়ার্স। এই জুটিতে মাত্র ১১ ওভারেই দলীয় দেড়শ পার করে রাজার দল। ফেরার আগে মায়ার্স খেলেন ১৩ বলে ১৯ রানের ক্যামিও। তবে তার বিদায়ের পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি আরেক ওপেনার বেনেট। সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে (৯১ রান) ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। ২৬০ স্ট্রাইক রেটে তার ৯১ রানের ইনিংস খেলতে লাগে মাত্র ৩৫ বল। এই রান করার পথে তিনি সাতটি ছক্কা ও আটটি চার মারেন।

শেষদিকে রায়ান বার্লের ১১ বলে ২৩, অধিনায়ক রাজার ১৩ বলে দুই ছয় ও পাঁচ চারের মারে অপরাজিত ৩৬ রান এবং মুসেকিউয়ার ৪ বলে ১২ রানের ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেটে ২৮৬ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ে ব্যাটারদের পিটুনি থেকে বাঁচতে এই ইনিংসে সিশেলসের ৯ বোলার বল করেছেন। তবে কেউই সাফল্য পাননি।

জোবায়ের হোসেন সিশেলসের সবচেয়ে সফল বোলার। ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে শিকার করেন দুই উইকেট।

জিম্বাবুয়ের দেয়া ২৮৭ রানের পাহাড় টপকাতে গিয়ে পাওয়ার প্লে’তে সিশেলস মাত্র ১৮ রান তুলতে পেরেছে। এই রান তুলতে হারাতে হয়েছে দুইটি উইকেট। এই প্রতিবেদন লেখার সময় বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ ছিল। তার আগে সিশেলস ৬ দশমিক ১ ওভারে ১৮ রান তুলেছে।