লেবানন থেকে ইসরায়েলে এক দিনে ১১৫টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ

লেবানন থেকে ইসরায়েলের দিকে আজ শনিবার অন্তত ১১৫টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে উত্তর ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এসব তথ্য জানিয়েছে।

আজ হিজবুল্লাহর হামলার কারণে ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় সাইরেন বাজানো হয়েছে। এসব হামলায় কী পরিমাণ হতাহত, ভবন বা অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তা জানা যায়নি।

তবে আজ সকালে ইসরায়েলের সিজারিয়া শহরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাসভবনে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবের উত্তরে সিজারিয়ায় নেতানিয়াহুর বাসভবনে লেবানন থেকে উড়ে আসা একটি ড্রোন আজ ওই আঘাত হানে বলে জানান তাঁর মুখপাত্র।

এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে বলা হয়, সিজারিয়াতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে একটি ড্রোন আঘাত হেনেছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রী সেখানে ছিলেন না। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বরাতে বিবিসি জানায়, আজ সকাল থেকে হাইফাসহ উত্তর ইসরায়েলের কয়েকটি শহরে লেবানন থেকে ৫০টির বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। কিছু রকেট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই প্রতিহত করা হয়েছে।

গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল শুক্রবার উত্তর গাজার জালাবিয়াতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮৫ জন। উপত্যকাটির ইন্দোনেশিয়া হাসপাতালেও ইসরায়েলি সেনারা ‘ব্যাপক গুলি’ চালিয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

মধ্য গাজার আল-মাগাজি শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে।

দক্ষিণ লেবাননের বিনতে জবিল এলাকায় হিজবুল্লাহর উপকমান্ডারকে হত্যার দাবি করেছে আইডিএফ। কিন্তু হিজবুল্লাহ তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

গত বুধবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফায় ইসরায়েলি সেনাদের নিয়মিত অভিযানে নিহত হন হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। তিনি নিহত হওয়ার পর গাজা যুদ্ধ শেষে শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। কিন্তু সিনওয়ারের মৃত্যুর পর ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, হামাস ‘জীবিত, ভবিষ্যতেও টিকে থাকবে’।

হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যমতে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৪২ হাজার ৫১৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৯৯ হাজার ৬৩৭ জন।