‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় অসাংবিধানিক ছিল’

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের মধ্য দিয়েই ফ্যাসিস্ট সরকার কায়েম হয়েছিল। একইসাথে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের দেয়া সে রায় অসাংবিধানিক ছিল বলে অভিযোগ করেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।

এরইমধ্যে সে রায় পুনর্বিবেচনার জন্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রিভিউ আবেদন করেছেন জানিয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আপিল বিভাগে বিএনপি মহাসচিব মামলাটি লড়বেন। আগামী রোববার শুনানির জন্য রিভিউ আবেদনটি উপস্থাপন করা হবে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সম্পর্কিত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে আপিল বিভাগ। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয়জন বিচারপতির বেঞ্চ ওই রায় ঘোষণা করেন।

১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যোগ হয়েছিলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। এরপর থেকে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ শেষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়ে পরবর্তী সরকার গঠিত হচ্ছিল।

কিন্তু ২০০৪ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ কয়েকজন আইনজীবী। সে সময় সংবাদ সম্মেলনে হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ বলে ঘোষণা করে রায় দিয়েছিল বলে জানানো হয়।