বাফুফে নির্বাচনের বৈধ প্রার্থী ৫০

বাফুফে নির্বাচনে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ১৪ ও ১৫ অক্টোবর। গতকাল ১৬ অক্টোবর ছিল মনোনয়নপত্র যাচাই–বাছাইয়ের তারিখ। সেই প্রক্রিয়া শেষে আজ বৃহস্পতিবার বৈধ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাহী কমিটিতে সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি, সহসভাপতি ও সদস্য মিলিয়ে মোট পদ ২১টি। এই ২১ পদে নির্বাচনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৫০ জন প্রার্থী। এর মধ্যে সভাপতি পদে ২ জন, সিনিয়র সহসভাপতি ২ জন, সহসভাপতি ৬ জন ও সদস্য পদে মোট ৪০ জন নির্বাচন করবেন।

এর আগে নির্বাচনের জন্য মোট মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল ৫২টি। দুজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন সভাপতি প্রার্থী মো. শাহাদাত হোসেন, অন্যজন সহসভাপতি প্রার্থী সাবেক ফুটবলার ইকবাল হোসেন। দুজনই সদস্য পদেও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু কাল তিনি সহসভাপতি পদের প্রার্থিতা তুলে নেন। ১৯ ও ২০ অক্টোবর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের তারিখ থাকলেও গতকাল দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। বাফুফের নির্বাচনী বিধিমালায় একাধিক পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর প্রার্থীদের বাড়তি ফরম প্রত্যাহার সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু উল্লেখ নেই বলেই বিতর্ক তৈরি হয়।

এদিকে আজ বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়নপত্রের ওপর আপত্তি প্রদানের তারিখ। আপত্তিকারীরা ৫০ হাজার টাকা ফি দিয়ে যেকোনো মনোনয়নপত্রের ওপর আপত্তি দিতে পারবেন—নিয়ম এমনই। আজ আপত্তি পড়েছে একটি। শরীয়তপুর জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কাউন্সিলর মোজাম্মেল হক সদস্য পদে বাফুফে নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তারের মনোনয়নপত্রের ওপর আপত্তি জানিয়ে আবেদন করেন।

মোজাম্মেল হকের আপত্তি ছিল, পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রে মাহফুজা আক্তার কোথাও নিজের ডাকনাম ‘কিরন’ ব্যবহার করেন না। কিন্তু বাফুফের মনোনয়নপত্রে তিনি ‘মাহফুজা আক্তার কিরন’ ব্যবহার করেছেন। একই সঙ্গে মোজাম্মেল দাবি করেন, ফিফা ও এএফসিতেও মাহফুজা আক্তার ‘কিরন’ নামটি ব্যবহার করেন না।

নির্বাচন কমিশন অবশ্য এই আপত্তি খারিজ করে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের যুক্তি, আগের নির্বাচনগুলোতেও মাহফুজা আক্তার ব্রাকেটের মধ্যে ‘কিরন’ নামটি লিখেছিলেন। মাহফুজা আক্তার ছাড়াও অন্য কয়েকজন প্রার্থী মনোনয়নপত্রে নাম লিখতে গিয়ে ব্রাকেটে নিজেদের ডাকনাম ব্যবহার করেছেন।

বাফুফে নির্বাচনের ৫০ বৈধ প্রার্থী:

সভাপতি প্রার্থী (২ জন)

এ এফ এম মিজানুর রহমান, তাবিথ আউয়াল

সিনিয়র সহসভাপতি প্রার্থী (২ জন)

তরফদার মো. রুহুল আমিন, মো. ইমরুল হাসান

সহসভাপতি প্রার্থী (৬ জন)

ফাহাদ মোহাম্মদ আহমেদ করিম, মো. ওয়াহিদউদ্দীন চৌধুরী, মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, মো. শফিকুল ইসলাম মানিক, সাব্বির আহম্মেদ আরেফ, সৈয়দ রুম্মান বিন ওয়ালী সাব্বির।

সদস্য পদপ্রার্থী (৪০ জন)

আ ন ম আমিনুল হক মামুন, আমীরুল ইসলাম (বাবু), ইমতিয়াজ হামিদ (সবুজ), এ কে এম নুরুজ্জামান, এ বি এম মঞ্জুরুল আলম দুলাল, কামরুল হাসান হিলটন, খন্দকার রকিবুল ইসলাম, জসিমউদ্দিন খান খসরু, জাকির হোসেন চৌধুরী, টিপু সুলতান, তাসমিয়া রেজোয়ানা, দেলোয়ার হোসেন, বিজন বড়ুয়া, মহিদুর রহমান মিরাজ, মানস চন্দ্র দাস (ধলু), মাহফুজা আক্তার (কিরন), মাহমুদা খাতুন, মো. আবদুল হাফিজ, মো. আমের খান, মো. ইকবাল হাসান (জনি), মো. ইকবাল হোসেন, মো. ইয়াকুব আলী, মো. ইখলাছ উদ্দীন, মো. গোলাম গাউছ, মো. ছাইদ হাছান কানন, মো. মঞ্জুরুল করিম, মো. মাহবুবুর রহমান, মো. মাহি উদ্দিন আহমদ (সেলিম), মো. রিয়াজ উদ্দিন, মো. শাহাদাত হোসেন, মো. শাহীন হাসান, মো. সফিকুল আজম ভূঁইয়া, মো. সাইফুর রহমান মনি, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, রওশন আক্তার হায়দার (ডেইজী জাফর), শাকিল মাহমুদ চৌধুরী, সত্যজিৎ দাশ রুপু, সাখাওয়াত হোসেন ভু্ঞাঁ, সৈয়দ মুহম্মদ শহীদুল ইসলাম।