ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় নিয়েছে, কিন্তু ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থাটা এখনো বহাল আছে: জোনায়েদ সাকি

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমরা দেখছি, নানা চেষ্টা চলছে। পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তি উসকানি দিচ্ছে। আর তা না হলে মাজারে হামলা হয় কেন? এই গণতান্ত্রিক স্বাধীন বাংলাদেশে কেন মন্দিরে হামলা হয়? কেন নারী হয়রানির শিকার হয়? বাংলাদেশে এসব যারাই করছে, তারা ফ্যাসিস্টদের দোসর। ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় নিয়েছে, কিন্তু ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থাটা এখনো বহাল। পালিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী চট করে ঢুকে পড়বেন, ঢুকে নাকি তাঁরা আবার ক্ষমতা দখল করবেন। আবার নাকি তাঁরা সবার হিসাব নেবেন। তাঁরা এখনো প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বলেন।’

আজ সোমবার রাতে রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে এক স্মরণসভায় জোনায়েদ সাকি এ কথা বলেন। গণসংহতি আন্দোলন রংপুর জেলা শাখা এ স্মরণসভার আয়োজন করে।

আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘যে মানবিক মুহূর্তে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল ছাত্ররা, যে ঐক্যের সামনে ট্যাংক, হেলিকপ্টার দিয়ে ফ্যাসিস্টরা গুলি করেছে, তাদের এত বড় বড় বাহিনী সব উপস্থিত হয়েছিল, কিন্তু ছাত্রদের দমাতে পারেনি। এই যে অসাধারণ ঐক্য, এই ঐক্য আমাদের বজায় রাখতে হবে। যাতে ফ্যাসিবাদ আর কোনোভাবে মাথাচাড়া দিতে না পারে। যে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা এরা কায়েম করে গেছে, সেটাকে সত্যি সত্যি আমরা বদল করতে পারি। একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যেতে পারি। একটা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বন্দোবস্তে যেতে পারি। এ জন্য দেশের সংস্কার দরকার। রাষ্ট্রব্যবস্থার সংস্কার দরকার, আমাদের একটা গণতান্ত্রিক সংবিধান দরকার। তাই গণতন্ত্রের জন্য রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে।’

গণসংহতি আন্দোলন রংপুর জেলার আহ্বায়ক তৌহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় অন্যদের মধ্যে ছিলেন দেন রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক সিরাজাম মুনিরা, ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন রংপুর জেলা ও বিভাগীয় সভাপতি লতিফুর রহমান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র প্রতিনিধি শাহরিয়ার সোহাগ প্রমুখ। এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য, আহত ব্যক্তি এবং রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের নেতারা।