দৌলতদিয়ায় নিজ ঘরে যৌনকর্মীকে হত্যা

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে সুমি ওরফে মিতা (৩০) নামের এক যৌনকর্মীকে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রোববার রাতের কোনো এক সময় স্থানীয় মজিদ শেখের পাড়ার দবির সরদারের দ্বিতীয় তলার ভাড়া করা কক্ষে তাঁকে খুন করা হয়। খবর পেয়ে আজ সোমবার দুপুরে পুলিশ মুখ, হাত ও পা বাধা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করেছে।

সুমির গ্রামের বাড়ি ঢাকার দোহারে। তাঁর চার বছর বয়সী একটি শিশু রয়েছে। খবর পেয়ে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মুকিত সরকার, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে খুনের প্রকৃত কারণ পুলিশ এখনো বের করতে পারেনি। লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ওসি রাকিবুল ইসলাম বলেন, সুমিকে দুর্বৃত্তদের দল গতকাল মধ্যরাত থেকে আজ ভোররাতের কোনো এক সময় খুন করেছে। খুনের প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি। লাশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর অনেকটা পরিষ্কার হওয়া যাবে। পুলিশ অপরাধীদের ধরতে মাঠে কাজ করছে।

দৌলতদিয়ার মজিদ শেখের পাড়ার বাড়িটি দেখভাল করেন দবির সরদারের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর সরদার। তিনি বলেন, এই বাড়িতে দ্বিতীয় তলার তিনটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকতেন সুমি। আজ সকালে এক ভাড়াটিয়া খুনের বিষয়টি জানালে তিনি যৌনপল্লির সুমির কক্ষটি খোলা দেখতে পান। ভেতরে মুখ, হাত ও পা বাধা অবস্থায় লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে জানান তিনি।

প্রতিবেশী পারভীন আক্তার নামের এক নারী জানান, দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তিন যুবককে সঙ্গে নিয়ে নিজ ঘরে যান সুমি। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই বাড়ির মাসি দ্বিতীয় তলায় কাপড় শুকাতে গিয়ে দেখেন সুমির কক্ষের দরজা খোলা। খাটের ওপর ছোট গামছা দিয়ে মুখ আটকে আরেক কাপড় দিয়ে মাথার চুল পিছন থেকে বাধা রয়েছে। এ ছাড়া দুই হাত, দুই পা ও কাপড় দিয়ে ঘরের জানালার সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে। এমন দৃশ্য দেখে তিনি চিৎকার করে সবাইকে জানান। যৌনপল্লিতে মাঝেমধ্যে খুনের ঘটনায় তাঁরা আতঙ্কে আছেন।