এবি পার্টির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আইআরআই প্রতিনিধিদলের বৈঠক

আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)-এর একটি প্রতিনিধিদল। আজ সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে এবি পার্টি কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন আইআরআই-এর ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রোগ্রাম পরিচালক জোশুয়া রোজেনব্লাম, ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রোগ্রাম ম্যানেজার ক্রিস্টোফার ব্রেনান, সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার অমিতাভ ঘোষ, বাংলাদেশ অফিসের প্রোগ্রাম ম্যানেজার রুকসানা হক প্রমুখ।

এবি পার্টির প্রতিনিধি দলে ছিলেন পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার-অ্যাট-ল আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ব্যারিস্টার-অ্যাট-ল যোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন, সহকারী সদস্য সচিব ও শ্যাডো কমিটি বিষয়ক ইনচার্জ ব্যারিস্টার-অ্যাট-ল সানি আবদুল হক এবং এবি মহিলা পার্টির ইনচার্জ ব্যারিস্টার-অ্যাট-ল নাসরীন সুলতানা মিলি উপস্থিত ছিলেন।

দলটির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল জানান, এবি পার্টি কীভাবে পলিসি ভিত্তিক রাজনীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক রূপকল্প পরিবর্তন করতে চায় এবং নতুন প্রজন্মের রাজনীতি সম্পর্কে তারা প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন।

এবি পার্টি কীভাবে পলিসি ভিত্তিক রাজনীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক রূপকল্প পরিবর্তন করতে চায় এবং নতুন প্রজন্মের রাজনীতি সম্পর্কে তারা প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন। এসময় সারাদেশে দলীয় কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণের পরিকল্পনা বিশেষ করে রাজধানীর বাইরে সংগঠন বিস্তারের বিষয়ে অবহিত করা হয়।

এবি পার্টি আইআরআই প্রতিনিধিদলকে জানায়, কোনো ভয় বা ভীতি ছাড়াই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষায় কাজ করার জন্য এখন উপযুক্ত সময়। আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাম্প্রতিক বৈঠকের কথাও উঠে আসে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে এবি পার্টির সদস্যসচিব প্রধান উপদেষ্টার নিকট ৬টি পর্যবেক্ষণ ও ১১ দফা প্রস্তাবের বিষয়ে অবহিত করেছেন।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, প্রধান শহরগুলোতে যানজটের কারণে সাধারণ মানুষ অসুবিধায় পড়েছেন। এবি পার্টি মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির সাথে সাথে বন্যা কবলিত এলাকায় লক্ষাধিক লোকের অসুবিধার পরিমাণ ব্যাখ্যা করেছে।

এবি পার্টি বিগত স্বৈরাচারী সরকার শাসনামলে একাধিক গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং অর্থ পাচার নিয়ে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার বিষয়ে পার্টির চিন্তাভাবনা প্রতিনিধিদলকে অবহিত করে। এসময় এবি পার্টি হাজার হাজার যুবকের ঐতিহাসিক আত্মত্যাগকে স্মরণ করে একটি নতুন ধরনের প্রগতিশীল বাংলাদেশ গড়তে ও সত্যিকারের দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র এবং সবার জন্য কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করে। আইআরআই নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবি পার্টির কার্যক্রমকে স্বাগত জানান।